ঢাকা রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

সেবা পেতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চট্টগ্রামে স্থাপনের দাবি

বিবিধ

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ

সেবা পেতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চট্টগ্রামে স্থাপনের দাবি

চট্টগ্রামের বিচারপ্রার্থী জনগণ সর্বোচ্চ আইনের আশ্রয় লাভে সাংবিধানিক সমঅধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছে। হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চট্টগ্রামবাসীর আইনতগত ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি। এ দাবি বাস্তবসম্মত, আবশ্যিক ও ন্যায়ত সঠিক, যথার্থ ও আইন সঙ্গত।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা এ দাবি জানান।

চট্টগ্রাম হাইকোর্ট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদের আয়োজনে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট এএসএম বদরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন প্রধান সমন্বয়ক চট্টগ্রাম আইন কলেজর উপাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট বদরুল হুদা মামুন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাশেম কামাল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তী সদস্যসচিব সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, কাশেম চৌধুরী, মোহাম্মদ বদরুল রিয়াজ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপন করা। এ দাবির প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে বাস্তবায়নের সূচনা করেছেন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান। সম্প্রতি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে আলোচনা করায় বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে বিচারিক সেবা প্রদান করেন মাত্র ২০০০ বিচারক। বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান তথা ৭২-এর সংবিধানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অনুচ্ছেদ- ১০০ সংযোজন পূর্বক জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির বিধান রাখা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। চট্টগ্রামে দ্রুত সার্কিট ব্যঞ্চ স্থাপন করতে প্রধান উপদেষ্টাসহ সবার নিকট দাবি করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে সামরিক ফরমানের ৪-এ ধারা বলে চট্টগ্রামসহ রংপুর, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও সিলেটে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায়, সংবিধান পূনরুজ্জীবিত হলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিতে পারে। এ অজুহাতে সংবিধানে স্থায়ী বেঞ্চের বিধান বিলুপ্ত করা হয়। জেনারেল এরশাদ ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে সামরিক ফরমানের ৪-এ ধারা সংশোধন করে স্থায়ী ৬টি বেঞ্চকে সার্কিট বেঞ্চে রূপান্তরিত করেন। এরপর ঢাকার আইনজীবীদের আন্দোলনের ফলে সার্কিট বেঞ্চ ফের বিলুপ্ত করা হয়।

জনপ্রিয়