বাংলাদেশের গবেষক এবং অনুশীলন সমিতির বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর জীবনী গ্রন্থ 'বাংলার মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী ' এর লেখক ফয়সাল আহমেদ কলকাতায়।
মহারাজ ত্রৈলোক্য চক্রবর্তী এন্ড মার্টার যতীন দাস মেমোরিয়াল কমিটির পক্ষ থেকে ফয়সাল আহমেদকে নিয়ে নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো ১১ এপ্রিল।
দিনের প্রথম কর্মসূচি কলকাতার কেওড়াতলায় ত্রৈলোক্যনাথের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। এ-সময় তার সঙ্গে ছিলেন মেমোরিয়াল কমিটি ও জীবন প্রবাহ ট্রাস্টের সংগঠকেরা।
তারপর কুদঘাটের ঐতিহাসিক অনুশীলন ভবনে হয় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান। এখানেই সংরক্ষিত আছে ত্রৈলোক্যনাথের শবাধার,মহারাজকে দেয়া বিভিন্ন সংগঠনের সম্মাননা পত্র, তাঁর ব্যবহৃত জামাকাপড়, বই, বিপ্লবী আন্দোলনের দুষ্প্রাপ্য নানা গ্রন্থ।
ফয়সাল আহমেদ মহারাজ ও অনুশীলন সমিতির গুরুত্ব সম্পর্ক আলোচনা করেন। তার আগে সমিতির সদস্যরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
এরপর দেশাত্ববোধক সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
সবশেষে কলকাতার টালিগঞ্জে চন্ডীতলা লেনের মহারাজ ত্রৈলোক্য চক্রবর্তী এন্ড মার্টার যতীন দাস মেমোরিয়াল কমিটির ভবনে ফয়সাল আহমেদ কে নাগরিক সংবর্ধনা জানানো হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মেমোরিয়াল কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌম্যেন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুধীর রঞ্জন রায়।
মেমোরিয়াল কমিটির দেয়া সম্মাননা স্মারকে বলা হয়- “বাংলার মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্ত্তী” গ্রন্থের রচয়িতা, গবেষক জনাব ফয়সাল আহমেদকে তার সাহিত্য লেখনি'র সফলতম অবদানের জন্য অভিনন্দন জানাই।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সাহিত্যকুলের অন্যতম গবেষক - তার গ্রন্থ রচনা তথা সাফল্য তুলে ধরার জন্য আমাদের অন্তরের মনিকোঠায় স্থান দিতে পেরে গর্বিত ও আপ্লুত ।
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, জনাব ফয়সাল আহমেদের সার্বিক সাফল্যে আগামী দিনগুলি বর্ণময় হয়ে উঠবে। জনাব ফয়সাল আহমেদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি ।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও লেখক, কবি, শিল্পী ও নানা শ্রেণীর পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ এপ্রিল ফয়সাল আহমেদ এর ' বাংলার মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী ' গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হবে কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের দ্বিতলে বইচিত্রে। সঙ্গে সাহিত্য সভা। সময় বিকেল ৫ টা। আয়োজক জীবন প্রবাহ ট্রাস্ট।