আগামীকাল রোববার (৬ অক্টোবর) থেকে রঙিন পোষাকের ধুম ধাড়াক্কা ক্রিকেট শুরুর অপেক্ষায় ভারত-বাংলাদেশ। গোয়ালিয়রের নতুন স্টেডিয়ামের প্রথম ম্যাচ এটি। একইসঙ্গে সাকিব আল হাসান অবসর নেয়ার পরও টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে টাইগাররা। তাকে দল মিস করলেও নিজেদের শক্তি আর সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন তাওহীদ হৃদয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
দুটি কারণে টি টোয়েন্টি ম্যাচটি ঐতিহাসিক। প্রথমত গোয়ালিয়রের এই মাঠে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আর দ্বিতীয়ত, সাকিব আল হাসান পরবর্তী যুগে টাইগারদের প্রথম ম্যাচ। ম্যাচে সাকিবকে মিস করলেও এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ। কোন কিছু ভেবে বাড়তি চাপ নিতেও নারাজ।
বাংলাদেশ ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয় বলেন, সাকিব ভাই নেই। অবশ্যই সাকিব ভাইকে মিস করব। কিন্তু আমাদের এখান থেকে একদিন না একদিন সবাইকে তো যেতেই হবে। আশা করি, এখান থেকে আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।
সিন্দিয়া স্টেডিয়ামের উইকেট কেমন হবে তা যেনো এক রহস্য। তবে কালো মাটির উইকেট বলে কিছুটা মন্থর হবে বলে ধারণা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও মধ্যপ্রদেশ প্রিমিয়ার লিগে গড় স্কোর ১৮০র ওপরে।
বাংলাদেশের এ ক্রিকেটার আরও বলেন, জানতাম এখানে ঘরোয়া লিগে দুইশ’র ওপর রান হয়েছে। তবে ঘরোয়া ম্যাচ আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ এক নয়। পাশের উইকেটে খেলে আমার মনে হয়েছে এখনকার উইকেট কিছুটা স্লো। আমরা ম্যাচের উইকেটের চরিত্র অনুযায়ী মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব এবং দলীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলব।
ভারতের দলটিতেও বড় তারকা নেই। বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবীন্দ্র জাদেজা, জাসপ্রিত বুমরাহ বিশ্রামে। আইপিএল মাতানো তরুণ ক্রিকেটারদের আধিক্য বেশি। মূলত ২০২৬ বিশ্বকাপকে লক্ষ্য রেখে প্রস্তুত হতে চায় টিম ইন্ডিয়া।
তাওহীদ হৃদয় আরও বলেন, মাঠে খেলতে নামলে কে আছে কে নাই চিন্তা করি না। আমাদের খেলার দিকেই ফোকাস করি। প্রসেস মেনটেইনের চেষ্টা থাকে। তাদের হারানোর সুযোগ আছে, এমন না আমরা ওদের বড় দলকে হারাইনি। টি-টোয়েন্টিতে বড় দল ছোট দল নাই। যে ভালো করবে সেই জিতবে।
এই সিরিজটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তাওহীদ হৃদয় বলেন, আলাদা করে কিছু করিনি। সবাই এখানে ভালো করতে চায়। আমরাও সেরা চেষ্টাটা করব। চাপ তো থাকেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ থাকেই কমবেশি। চাপ মাথায় থাকলে ভালো করতে পারব না। আমাদের মনোযোগ ভালো করার দিকে, ফলাফল পক্ষে আনার দিকে।
একাদশে তিন স্পিনার খেলালে রিশাদ ও মেহেদি মিরাজের সঙ্গী হতে পারেন শেখ মেহেদি কিংবা রাকিবুল। মুস্তাফিজের সঙ্গে পেস অ্যাটাকে তানজিম সাকিবের সম্ভাবনা বেশি।