দীর্ধ ১৭ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রঙিন ক্যানভাসে রয়েছে নানা রেকর্ডের ছোঁয়া। টি-টোয়ান্টিতে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি রানের দিক থেকেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। দলকে নেতৃত্ব দেয়ার দিক থেকেও এগিয়ে সাইলেন্ট কিলার। ক্রিকেটের এই ছোট ফরমেটে নানা রেকর্ডে পরিপূর্ণ রিয়াদ শেষ ম্যাচ খেলবেন ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদে।
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় রিয়াদের। গত ১৭ বছরে রান করেছেন ২,২৯৫। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ভারত সিরিজ শেষে অবসর নিলে রিয়াদ খেলবেন ১৪২ ম্যাচ। যা বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
অধিনায়কত্বের দিক থেকেও এগিয়ে সাইলেন্ট কিলার। রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪৩ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে ২০২১ থেকে বাইশের জুলাই পর্যন্ত রেকর্ড সর্বোচ্চ টানা ২৯ ম্যাচে নেতৃত্বে ছিলেন রিয়াদ।
একটা গুঞ্জন ছিল ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাটে আপ টু দ্যা মার্ক নয় মাহমুদউল্লার ব্যাটিং। সেই রিয়াদই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে হাঁকিয়েছেন সর্বোচ্চ ৭৪টি ছ্ক্কা ।
১২ অক্টোবর বাইশ গজে শেষবারের মতো টি-টোয়েন্টি খেলবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ারের ব্যাপ্তি হবে ১৭ বছর ৪১ দিন, যা আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে কোনো খেলোয়াড়ের তৃতীয় দীর্ঘ ক্যারিয়ার। যেখানে শীর্ষে সতীর্থ সাকিবের নাম। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯টি ম্যাচে জয়ের সাথে মিশে আছে সাইলেন্ট কিলারের নাম।
বয়সের কারণে টি-টোয়েন্টিতে খেলা নিয়ে শুনতে হয়েছে নানা কটু কথা। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ডটাও রিয়াদেরই। ১২ অক্টোবর সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলার দিন মাহমুদউল্লাহর বয়স হবে ৩৮ বছর ২৫১ দিন।
রিয়াদ আমাদের শিখিয়েছেন মাথা নিচু করে কিভাবে চেষ্টা করে যেতে হয়। যখন সব কিছু আপনার বিপক্ষে, তখন কীভাবে ফিরে আসতে হয়। এ কারণেই রিয়াদকে মনে রাখবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।