১৫৯ রানে বাংলাদেশের সব কটি উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম ইনিংসে ৫৭৫ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা আর ব্যাটিংয়ে নামেনি। টাইগারদের ফলোঅনে ফেলে ফের ব্যাটিংয়ে পাঠায়। এবার বাজে পারফরম্যান্সে প্রথম ইনিংসকেও ছাড়িয়ে গেল নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনী। গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৪৩ রানে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। টেস্টে রানের হিসাবে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় হার। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস ও ৩১০ রানে হেরেছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে তড়িঘড়ি করে ৪টি উইকেট হারিয়ে ফেলে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তৃতীয় দিনও উইকেটের পতনধারা অব্যাহত থাকে। মুমিনুল হক দাঁড়ালেও ১৫৯ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। মুমিনুল করেন সর্বোচ্চ ৮২ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছে স্বাগতিক দলের। আগের দিন টেস্টের এক নম্বার বোলার কাগিসো রাবাদা দাপট দেখালেও এদিন মূল ধ্বসটা নামান মুত্থুস্বামী ও কেশভ মহারাজ। ১৫ রানেই সাদমান ইসলামকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ডেন পিটারসন।
এরপর দলীয় ২৮ রানে মাহমুদুল হাসান জয়, ২৯ রানে মুমিনুল হক, ৪৩ রানে জাকির হাসান, ৪৭ রানে মুশফিকুর রহিম ও ৭০ রানে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জয় ১১, সাদমান ৬, জাকির ৭, মুশফিকুর ২ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৬ রান করেন। ২ বলে ডাক মারেন মুমিনুল।
উইকেটের মিছিলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে ইনিংস হারের দিকে। মুত্থুস্বামী নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে সেই সম্ভাবনা আরও জাগিয়ে তুলেন। ৫৫ বলে ৩৬ রান করেন বাংলাদেশ দলপতি, তখন বাংলাদেশ পিছিয়ে ৩৩৮ রানে।
তাইজুল ইসলাম আউট হয়ে যাওয়ার পর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন বাংলাদেশকে ‘ইনিংস ও ৩১০’র লজ্জা থেকে বাঁচান। হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে পিছিয়ে থাকা রানের সংখ্যা ৩১০-এর নিচে নামিয়ে আনেন। ২৯ রানে আউট হন অঙ্কন।
ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে হাসান মাহমুদ ছাড়িয়ে যান সবাইকে। বাংলাদেশিদের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ রান করেন (৩০ বলে ৩৮)। শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থাকেন তিনি। প্রোটিয়াদের হয়ে কেশভ মহারাজ ৫ ও মুত্থুস্বামী নেন ৪ উইকেট। ডেন পিটারসনের শিকার ১।