শারজায় বুধবার (৬ নভেম্বর) আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ দিয়ে প্রায় আট মাস পর প্রিয় সংস্করণ ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ দল। টেস্ট এবং টি–টোয়েন্টিতে দলের ভরাডুবি পারফরম্যান্সের পর ওয়ানডে স্বস্তি খোঁজার মিশনে নামবে নাজমুল হোসেনের দল।
চলমান পরিস্থিতিতে ভালো নেই বাংলাদেশের ক্রিকেট। সাদা পোশাকে টানা দুই সিরিজে ধবলধোলাই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সর্বশেষ সিরিজে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। সাদা পোশাকের হতাশা ঝাড়তে বাংলাদেশের মিশন এবার রঙিন পোশাক। তবে, বদলেছে দল। বদলেছে ভেন্যু। টেস্ট ফরম্যাট ছিল বাংলাদেশে, ওয়ানডে হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। টেস্টে প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়ানডেতে আফগানিস্তান।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে টাইগাররা। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ খেলা শুরু হবে আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।
বাংলাদেশের যেখানে আত্মবিশ্বাসের অভাব, আফগানদের সেখানে ভরপুর প্রত্যয়। গত সেপ্টেম্বরে শারজাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতেছেন রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা। মাঠের ক্রিকেটে যেমন আত্মবিশ্বাসের কমতি, তেমনি বাংলাদেশের জন্য কঠিন আরও একটি জায়গা। আফগানদের হাতের তালুর মতো চেনা শারজার এই মাঠ। সেখানেই কি না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ওয়ানডে খেলতে নামছে প্রায় ২৯ বছর পর।
১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল শারজায়। এই মাঠে অবশ্য তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে দলটি। তবে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এশিয়া কাপে (টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত) এখানে খেলা শেষ ম্যাচে এই আফগানদের কাছেই হেরেছিল বাংলাদেশ। সেদিক বিবেচনায় সিরিজ শুরুর আগে অনেক দিক থেকেই ব্যাকফুটে শান্ত বাহিনী।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ১৬ ম্যাচে। জয়ের পাল্লা ভারী শান্তদের পক্ষে। ১০ ম্যাচে শেষ হাসি বাংলাদেশের। সর্বশেষ পাঁচ দেখার তিনটিতেই জিতেছে তারা। যদিও, একদিনের ক্রিকেটে এক বছরের বেশি সময় আগে শেষবার মাঠে নেমেছিল দুদল।