তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ঘটে যাওয়া মারামারির ঘটনায় এক কর্মকর্তাসহ আট ক্রিকেটারকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণের জন্য তাদের এই শাস্তি দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
২০২৪-২৫ মৌসুমের ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য তাদেরকে এই সাজা দেয়া হয়। সাজার জন্য সুপারিশ করেছে টেকনিক্যাল কমিটি।
এ বিষয়ে বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আচরণবিধির ‘গুরুতর’ লঙ্ঘনের দায়ে আট ক্রিকেটার ও এক জন ক্লাব কর্মকর্তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে সুপার লিগের ম্যাচে মাঠেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও প্রত্যক্ষ প্রমাণ পর্যালোচনা করে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি এই শাস্তির ঘোষণা দেয়।
সাজা পাওয়া ক্রিকেটাররা হলেন তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়, স্যাফায়ার স্পোর্টিংয়ের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয় এবং তেজগাঁওয়ের কর্মকর্তা রবিন।
বিসিবির আচরণবিধির ২.১৯ ধারা অনুযায়ী, লেভেল-৪ ভঙ্গের অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন তারা। লেভেল-৪ ভঙ্গের সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন নিষেধাজ্ঞা।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ঘটনায় কোনো প্রকাশ ছাড় দেয়া হবে না।
‘ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। এটিকে তাই ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।’