১৫ বছরের অপেক্ষার ইতি ঘটেছে। বাংলাদেশ ক্যারিবীয়ানে টেস্ট জিতেছিল ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে, এখন আবার এবার।
প্রথম ম্যাচে হারের পর অনেকেরই হয়তো আশা ছিল না তেমন। তবে শেষ অবধি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ জিতেছে ম্যাচ।
মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার এমন এক সময় দায়িত্ব পেয়েছেন, দল যখন একেবারে ভঙ্গুর। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে মিরাজের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল, বাংলাদেশকে জয়ের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় সেই চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে এই কঠিন চ্যালেঞ্জ জয় করল বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় দুর্গে জিতে নিল দ্বিতীয় টেস্ট।
টানা পাঁচ টেস্টে হারের পর যে জয় দলের জন্য স্বস্তিদায়ক। সিরিজ সেরা তাসকিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, টানা হারে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া দলের জন্য জয়টি খুব প্রয়োজন ছিল। দ্বিতীয় টেস্টের সেরা খেলোয়াড় তাইজুল আহমেদের মতে, বাংলাদেশ জিতেছে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে।
অধিনায়ক মিরাজের কন্ঠেও ঝরেছে সতীর্থদের প্রশংসা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া ১০১ রানের জয়কে তিনি বলছেন, দলগত প্রচেষ্টার ফল। সাম্প্রতিক ব্যর্থতা মেনে নিয়ে মিরাজ জানান, উন্নতির অনেক জায়গা আছে। সেসব নিয়ে কাজ করছে ছেলেরা। ম্যাচ শেষে আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন তিনি।
মিরাজ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি। প্রায় ২৫ বছর। এটি উপভোগ্য ব্যাপার। আমাদের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। ছেলেরা তা নিয়ে কাজ করছে। এই ম্যাচে সবাই যার যার জায়গা থেকে ভালো করেছে। বিশেষত আমাদের বোলাররা। নাহিদ, তাসকিন, হাসান মাহমুদ, তাইজুলরা দারুণ করেছে। আমরা নিয়মিত ভাবি, কীভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো ভালো করা যায়।’