টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই রান উৎসব। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেই উৎসব বাড়ছে কয়েকগুণ। চলতি বছরেই একাধিকবার দেখা গেল ২০ ওভারের ক্রিকেটে রানের রেকর্ড ভাঙা-গড়ার উৎসব। ভারত বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছে ২৯৭ রান। যেটা ছিল টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর জন্য সর্বোচ্চ।
ওই রেডর্কের পরই জিম্বাবুয়ে নিজেদের স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ৩৪৪ রান। যেটা টি-টোয়েন্টির যেকোন পর্যায়েই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এবার সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল ভারতের সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফির সিকিম ও বারোদার ম্যাচ।
সিকিমের বিপক্ষে প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ রান তুলেছে বারোদা। মাত্র ১৭.২ ওভারেই এই ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করে বারোদা। শেষ পর্যন্ত তারা থামে ৩৪৯ রানে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলীয় সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড।
সিকিমের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে বেশ কিছু রেকর্ডই নিজেদের করে নিয়েছে বারোদা। দুই ওপেনার শ্বাশত রাওয়াত এবং অভিমন্যু সিং রাজপুত ৫ ওভারেই তোলেন ৯২ রান। পাওয়ারপলের আগেই আসে দলীয় শতরান। তিনে নামা ভানু পানিয়া এরপর শুরু করেন ধ্বংসযজ্ঞ।
৪২ বলে সেঞ্চুরি আর ইনিংস শেষে তিনি অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ১৩৪ রান নিয়ে। তার এই ইনিংসের সুবাদেই বারোদা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় দুইশ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়ে। মাত্র ১০.৩ ওভারেই দুইশ পূর্ণ করে দলটি।
১৮তম ওভারে ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় দল হিসেবে ৩০০ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে বারোদা। ২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালেরে ৩১৪ এবং চলতি বছর গাম্বিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ৩৪৪ রানের রেকর্ড টপকে ২০ ওভারে ৩৪৯ রানে থামে বারোদার ব্যাটিং ঝড়।
পাহাড় সময় স্কোরের পথে অবশ্য আরও একটা রেকর্ড গড়েছে বারোদা। পুরো ইনিংসে তারা হাঁকিয়েছে ৩৭ ছক্কা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার নতুন রেকর্ড এটি। এর আগে জিম্বাবুয়ে গাম্বিয়ার বিপক্ষে হাঁকিয়েছিল ২৭ ছক্কা। বারোদার ইনিংস ছাপিয়ে গেছে তাদেরও।