ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার স্বাদ ভুলে টি-টোয়েন্টিতে বেশ ভালোভাবেই লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) টস জিতে আইরিশ মেয়েরা আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ওপেনিংয়ে অ্যামি হান্টারকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামেন অধিনায়ক গ্যাবি লুইস। শুরুতেই দুই পেসার দিয়ে বোলিং অ্যাটাক সাজানো হয় বাংলাদেশের। জাহানারা আলম ও ফারিহা তৃষ্ণা শুরুতেই বোলিং করেন। নিজের প্রথম ওভারে কিপ্টে বোলিং উপহার দেন জাহানারা। পরের ওভারেই দলীয় ১৬ রানে অ্যামি হান্টারকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশের এই নারী পেসার।
এরপর ওয়ান ডাউনে মাঠে নামেন আয়ারল্যান্ডের ওরলা পেন্ডারগাস্ট। এরপর কিছুটা মারমুখী হয়ে খেলতে থাকে সফকারী দল। এ সময় রানের পালেও কিছুটা হাওয়া লাগে। পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে আয়াল্যান্ড মেয়েরা করেন ৩৫ রান। পরে পেস বোলিং সরিয়ে স্পিন দিয়ে আক্রমণ সাজান টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ফলও পেয়ে যান তিনি। দলীয় স্কোর বোর্ডে ৪৬ রান জমা করতেই জান্নাতুল ফেরদৌসের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান পেন্ডারগাস্ট। এরপর অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে আসেন লিআহ পাউল।
উইকেট শিকারে বোলিং এ পরিবর্তন আনেন নিগার সুলতানা। ওদিকে বামহাতি পাউল আর ডানহাতি লুইসের ক্যামিস্ট্রিতে বাংলাদেশি বোলারদের তোয়াক্কা না করে বাড়তে থাকে সফরকারীদের রান। ১২ ওভার শেষে রান রেট বেড়ে দড়ায় ৮ এর ওপর। স্কোর বোর্ডে তখন ২ উইকেটের বিনিময়ে ৯৭ রান। এরপর আয়ারল্যান্ড মেয়েরা শতক পূরণ করেন ১৩তম ওভারে এসে।
আত্মবিশ্বাসে ভরপুর অধিনায়ক গ্যাবি লুইস সিক্স মেরে ৩২ বলে ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি তুলের নেন। এ ছাড়াও ১৫ ওভারে এসে লিআহ পাউলও তুলের নেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। ২৮ বল খরচায় ৫০ রান তুলতে ৬টি চারের মার ও ২টি ছক্কা হাকান তিনি।
দলীয় ১৫৩ রানে ফারিহা তৃষ্ণার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে অধিনায়ক লুইস অবস্য ৪২ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। দিয়ে যান দলকে শক্ত অবস্থান। এরপর পাউলের সঙ্গী হন লরা ডিলেনি। তবে দলীয় ১৫৮ রানে স্ট্যাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডিলেনি।
পরে উনা রেইমন্ডের সঙ্গে জুটি বাঁধেন পাউল। তবে বেশি দূর এগোতে পারেননি রেইমন্ড। স্কোর বোর্ডে দলীয় ১৫৯ রান নিয়ে রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ক্রিজ আগলে রাখেন আয়ারল্যান্ডের বাম হাতি ব্যাটার লিআহ পাউল। ৪৫ বল খেলে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান করে সফরকারীরা। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট পান জাহানারা আলম, ফারিহা ত্রিষ্ণা, জান্নাতুল ফেরদৌস ও নাহিদা আক্তার। কোনো উইকেট পাননি রিতু মণি ও স্বর্ণা আক্তার।