আইরিশদের কাছে হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। আয়ারল্যান্ডের গ্যাবি লেইস ও লিয়াহ পলের ১০৭ রানের জুটি দারুণ পাল্টা দিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও সোবহানা মুস্তারি। তারা প্রথম ১২ ওভারে ১০৩ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু লোয়ারে ভালো ব্যাট করতে না পারায় আইরিশ মেয়েদের কাছে ১২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
সিলেটে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আইরিশদের কাছে ১২ রানে হেরেছে জ্যোতির দল। ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে থেমেছে লাল সবুজরা।
লক্ষ্যটা কঠিন ছিল। তবে আইরিশদের বাজে ফিল্ডিং এগিয়ে রেখেছিল টাইগ্রেসদের। বিশেষ করে একের পর এক ক্যাচ, রান আউট, স্টাম্পিং মিস করে যাচ্ছিল সফরকারীরা। একের পর এক জীবন পেয়ে ওপেনিং জুটিতেই দলকে শতরান এনে দেন দিলারা আক্তার ও সোবানা মোস্তারি। দ্বাদশ ওভারে গিয়ে দুজনের ১০৩ রানের জুটি ভাঙেন ওরলা প্রেনদারগ্যাস্ট। ৩৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে ৪৬ রানে থামেন সোবানা।
পরবর্তী ৭ রানের ব্যবধানে সাজঘরের পথ ধরেন নিগার সুলতানা জ্যোতি ও দিলারা। জ্যোতি ৫ বলে ৪ আর দিলারা ৪১ বলে সমান ২ ছক্কা ও চারের মারের ৪৯ রান করে আউট হন। এরপর শারমিন আক্তার ও তাজ নেহার হাল ধরে ফের দলকে জয়ের আশা দেখান। ১৪ বলে ১৯ করে ১৭তম ওভারের শেষ বলে আউট হন নেহার। ১৮তম ওভার শেষেও জয়ের পথে ছিল টাইগ্রেসরা। জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ১৮ রানের।
কিন্তু ১৯তম ওভারের প্রথম বলে স্বর্ণা আক্তার আউট হওয়ার পর পুরো ওভারে আর কোনো রান তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। উল্টো চতুর্থ বলে সাজঘরের পথ ধরেন রিতু মনিও। প্রেনদারগ্যাস্টের ওই মেডেন ওভারেই ম্যাচ নিজেদের করে নেয় আইরিশরা। শেষ ওভারে আর কোনো চমক দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। তাতে হার নিয়েই সিরিজ শুরু করলো জ্যোতির দল।
আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আর্লেনে ক্যালি ও ওরলা প্রেনদারগ্যাস্ট।
এর আগে অধিনায়ক গ্যাবি লুইস ও লিয়া পলের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বড় পুঁজি তুলে নিয়েছিল সফরকারীরা। লুইস ৪২ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কার মারে ৬০ রান করে আউট হন। তবে ৪৫ বলে ১০ চার ও ছক্কার মারে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন পল। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের বড় পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে শনিবার (৭ ডিসেম্বর)। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ৯ ডিসেম্বর। টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবগুলো ম্যাচ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।