বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান হয়েছে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন পিতা হাফিজ আল-হাসাদ। তাঁর মৃত্যুর পর ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ জুলাই ক্ষমতায় বসেন বাশার আল-আসাদ।
ক্ষমতা গ্রহণের পরেই স্বৈরশাসক হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। বাশারের শাসনামলেই সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দেশটি। আন্তর্জাতিক সমালোচনা উপেক্ষা করেও স্বৈরশাসন বজায় রেখেছিলেন তিনি। তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) দামেস্ক দখল করার পর গতকাল রোববার ভোরে দেশ ছেড়ে পালান বাশার। এতে তাঁর দীর্ঘ দুই যুগের ক্ষমতার অবসান ঘটে।
বাশার সরকারের পতনের পরেই দামেস্ক ‘মুক্ত’ ঘোষণা করেন বিদ্রোহীরা। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিওর নিয়ন্ত্রণও নেন তারা। লুট চালানো হয় আসাদের বাসভবনেও। দেশটির বিভিন্ন অঙ্গনে যে পরিবর্তনের ছোঁয়া আসবে, সেটা অনুমিতই ছিল। সরকার পতনের মাত্র এক দিনের ব্যবধানেই ক্রীড়াঙ্গনে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। সিরিয়ার জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি ও লোগোর রং পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এসএফএ)।
আগে সিরিয়ার জাতীয় দলের জার্সি ছিল লাল রংয়ের। সেটির পরিবর্তে এখন জার্সির রং হবে সবুজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েকজন খেলোয়াড়ের গায়ে সবুজ জার্সি পরিহিত ছবি যুক্ত করে এসএফএ লিখেছে, ‘আমাদের জাতীয় দলের নতুন জার্সি।’ জার্সির পাশাপাশি দলটির লোগে থেকেও লাল রং সরিয়ে সবুজ রং যোগ করা হয়েছে।
জার্সি ও লোগের রং পরিবর্তন প্রসঙ্গে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ‘স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব ও দুর্নীতির বাইরে সিরিয়ান ফুটবল ইতিহাসে প্রথম ঐতিহাসিক পরিবর্তন ঘটল।’