সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজরা। বাংলাদেশের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ ব্যাটিং। আর সেখানে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ওপেনিং জুটি। ওপেনাররা যেন বড় জুটি গড়তে ভুলে যান। আজ আরো একবার ব্যর্থ হলো শুরুর জুটি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সেন্ট কিটসের বাসেটেরের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। পাঁচ বল খেলে মাত্র দুই রানে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। জেইডেন সিলসের সাদামাটা এক বলে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন গুড়াকেশ মতির হাতে। ২৬ রানে ঘটে প্রথম উইকেটের পতন।
এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৯৪ রানের পুঁজি গড়েও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি মেহেদী মিরাজের দল। ১৪ বল হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটের জয় পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। ওইদিন ব্যাটিং অর্ডারের চারে নেমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মিরাজ। ১০১ বল খরচায় এই রান করেন তিনি। যদিও হারের পর কাঠগড়ায় মিরাজের টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং।
প্রথম ম্যাচে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগাদের টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডের ইতি ঘটেছে। এ ছাড়া টানা চারটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটাও হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। এ সময় ঘরের মাঠে দু’টি এবং ক্যারিবীয় সফরে দু’টি সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। রেকর্ড ধরে রাখতে ও সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলি অনিক (উইকেটরক্ষক), রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শরীফুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।