অপেক্ষার পালা শেষে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলার ছাড়পত্র মিলল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির মিডফিল্ডারের লাল-সবুজ জার্সিতে মাঠে নামতে আর কোনো বাধা নেই। সুখবর পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে তিনি জানালেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তার আর তর সইছে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন নিশ্চিত করেছেন অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি। ইংল্যান্ড প্রবাসী ২৭ বছর বয়সী হামজা নিজেও দিয়েছেন ভিডিও বার্তা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ফিফার খেলোয়াড় স্ট্যাটাস কমিটির কাছ থেকে এসেছে চূড়ান্ত অনুমোদন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফের স্বীকৃত পেজে প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় হামজা বলেছেন, 'আমি হামজা বলছি। সব প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক খুশি। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আমার আর তর সইছে না। আশা করছি, শিগগিরই দেখা হবে।'
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। শুরুটা হয়েছিল ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া বর্তমান অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়াকে দিয়ে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি এখন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডের মালিক। এরপর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে লাল-সবুজ জার্সিতে নিয়মিত খেলছেন ফিনল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ডিফেন্ডার তারিক কাজী।
ইংল্যান্ডের লেস্টারশায়ারে জন্ম নেয়া হামজাকে নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে থাকার কারণ হলো, তিনি প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবে খেলছেন। ইউরোপে এত উঁচু পর্যায়ে ক্লাব ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা নেই জামাল ও তারিকের। লেস্টার প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। তাদের হয়ে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে এফএ কাপ ও কমিউনিটি শিল্ড জেতার অভিজ্ঞতা আছে হামজার।
শৈশবে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে লেস্টারে যোগ দিয়েছিলেন হামজা। বয়সভিত্তিক ধাপ পার করে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ক্লাবটির মূল দলে জায়গা করে নেন তিনি। এখন পর্যন্ত তাদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১২৯ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গোল করেছেন দুটি, অ্যাসিস্ট করেছেন চারটি। মাঝে ধারে খেলেছেন বারটন অ্যালবিয়ন ও ওয়াটফোর্ডে।
হামজার বাবা গ্রেনাডার নাগরিক, মা বাংলাদেশের। তার নানা বাড়ি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলায়। মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে ভ্রমণ করে গেছেন তিনি। গত আগস্টে হামজা পান বাংলাদেশি পাসপোর্ট।