গ্রেফতার হয়েছিলেন বেশ কয়েকদিন আগেই। গত শনিবার প্রীতিম্যাচে বর্ণবাদী আচরণের দায়ে ব্রাজিলে গ্রেফতার করা হয়েছিল চার আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে। সোমবার তাদের হাজির করা হয় আদালতে। সেখান থেকেই নির্দেশনা আসে তাদের প্রিভেনটিভ ডিটেনশন বা আটকে রাখার।
প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট লেডিস কাপ খেলতে গিয়ে এমন বিপত্তির মাঝে পড়েছেন আর্জেন্টিনার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব রিভারপ্লেটের চার নারী ফুটবলার। ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে গ্রেমিও’র বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে ঘটে এই ঘটনা। ১-১ সমতায় ম্যাচ চলাকালে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে মাঠ ছেড়ে যান গ্রেমিওর নারী ফুটবলাররা।
এরপরেই আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভারপ্লেটের ৬ ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। পরে ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট খেলোয়াড়ও ছিল না আর্জেন্টাইন ক্লাবটির। গ্রেমিওকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ৩-০ গোলের ব্যবধানে। এরপরেই আটক করা হয় সেই চার নারী ফুটবলারকে। আটককৃত সেই নারী ফুটবলাররা হলেন কান্দেলা দিয়াজ, কামিলা দুয়ার্তে, হুয়ানা কানগারো এবং মিলাগরোস দিয়াজ।
গতকাল সোমবার এই চারজনকে আটকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ব্রাজিলের একটি আদালত। সাও পাওলোর জননিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, আর্জেন্টাইন নারী ফুটবলারদের ব্রাজিল ছেড়ে যাওয়া ঠেকাতেই আটক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়াও ভিডিওতে দেখা গেছে, আর্জেন্টাইন নারী ফুটবলার কান্দেলা দিয়াজ কাউকে উদ্দেশ্য করে বানরের মতো অঙ্গভঙ্গি করছেন। এক বিবৃতিতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব গ্রেমিও জানিয়েছে, তাদের খেলোয়াড়রা এক বল বয়কে সাহায্য করতে এগিয়ে আসার পর তাঁদের সঙ্গেও বর্ণবাদী আচরণ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে বিবৃতিতে দিয়েছে সেই চার নারী ফুটবলারের ক্লাব রিভার প্লেটও। বিবৃতিতে তারা খেলোয়াড়দের এমন বর্ণবাদী অঙ্গভঙ্গির নিন্দা জানানোর পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছে। পাশাপাশি এই ধরনের আচরণ বন্ধ করতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির সঙ্গে একযোগে কাজ করার ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে ক্লাবটি।