দুই ওপেনারকেই সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন তিনি। এরপর মাঝে শাহাদাৎ হোসেন দীপু ও স্টিফেন এস্কানজি গড়েন জুটি।
তবে শেষদিকে এসে ফের উইকেট নিতে থাকেন তাসকিন। সবমিলিয়ে তার ঝুলিতে যায় সাত উইকেট। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি। এর আগে এক ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার নজির ছিল সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের। সব মিলিয়ে তৃতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। আর একটি উইকেট পেলেই সেরা বোলিং ফিগারের বিশ্বরেকর্ড গড়তেন ডানহাতি এই পেসার।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে বিপিএলের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হয়েছে দুর্বার রাজশাহী। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করেছে ঢাকা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা। পাঁচ বলে কোন রান করার আগেই ইয়াসির আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে তাসকিনের শিকার হন লিটন দাস। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসানও ১০ বলে ৯ রান করে তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
তবে তৃতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়েন স্টিফেন এস্কানজি ও শাহাদাৎ হোসেন দীপু। ৪৭ বলে ৭৯ রানের এই জুটি ভাঙেন হাসান মুরাদ। ২৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান করা এস্কানজিকে বোল্ড করেন তিনি। দীপু হাফ সেঞ্চুরি পান। ৪১ বলে ৭ চারের ইনিংসে ৫০ রান করেন তাসকিনের বলে আউট হন তিনি।
মাঝে এসে ৯ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন থিসারা পেরেরা। প্রথম স্পেলে দুই উইকেট পাওয়া তাসকিন আবার বোলিংয়ে আসেন ১৭তম ওভারে। এই ওভারের প্রথম বলে দীপুকে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেট পান তাসকিন। পঞ্চম বলে আউট হন চতুরঙ্গ ডি সিলভা, উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর আবার শেষ ওভার করতে এসে তিন উইকেট পান তাসকিন। এবার তিনি ফেরান আলাউদ্দিন বাবু, মুকিদুল ইসলাম ও রানজানেকে।
সবমিলিয়ে চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে সাত উইকেট নেন তাসকিন। বিপিএল তো বটেই, বাংলাদেশের কোন বোলারেরই এর আগে টি-টোয়েন্টিতে এত উইকেট নেওয়ার কীর্তি নেই। এর আগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ভাইটালিটি ব্লাস্টে প্রথমবার সাত উইকেট পান নেদারল্যান্ডসের কলিন অ্যাকারম্যান। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে চীনের বিপক্ষে কেবল ৮ রানে ৭ উইকেট সেরা বোলিং ফিগারের বিশ্বরেকর্ড গড়েন মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদ্রুস।