বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরের শুরু থেকেই ব্যাটারদের আধিপত্য লক্ষ্য করা গেছে। শুরুর ৬ ম্যাচে অনেক ব্যাটারই দুর্দান্ত সব ইনিংস খেললেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি কেউই। সপ্তম ম্যাচে সেই গেরো কাটিয়েছেন পাকিস্তানের তারকা উসমান খান। দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের তুলোধুনো করে আসরের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ব্যাটার।
এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে তেমন ঝলক দেখাতে পারেননি উসমান। দ্বিতীয় ম্যাচে সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন তারকা ব্যাটার। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে ৬ ছক্কা ও ১৩ চারে করেছেন ৬২ বলে করেছেন ১২৩ রান।
বিপিএলে এটি উসমানের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে চট্টগ্রামেরই আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এবারের সেঞ্চুরি অবশ্য একটু দ্রুত এসেছে। ১১ চার ও ৫ ছক্কার মারে ৪৮ বলে শতরান পূর্ণ করেছেন তিনি।
বিপিএলের ইতিহাসে এটি ৩৩তম সেঞ্চুরি। উসমানের ক্যারিয়ারের এটি পঞ্চম সেঞ্চুরি। বিপিএলে দুটি সেঞ্চুরি ছাড়াও পাকিস্তান সুপার লিগে ৩টি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ড্যাশিং এই ব্যাটার।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আজ (৩ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেট হারিয়েছিল চিটাগং। ২ বল খেলে তাসকিনের বলে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার।
বল হাতে এর পরের সময়টা রাজশাহীর জন্য তিক্ততার। শফিউল ইসলাম-হাসান মুরাদদের তুলোধুনো করে ৯ ওভারের মধ্যে দলকে শতরানে পৌঁছে দেন উসমান খান ও গ্রাহাম ক্লার্ক। দুজনের ১২০ রানের জুটি ভাঙে ইনিংসের ১১তম ওভঅরে। ২৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কার মারে ৪০ রান করে সোহাগ গাজীর শিকার হন ক্লার্ক।
তবে অপরপ্রান্তে আগলে রেখে ঝড় তুলে যান পাকিস্তানি ব্যাটার উসমান। ৪৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কার মারে তুলে নেন বিপিএল ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। চলতি আসরে এটি কোনো ব্যাটারের প্রথম শতক। তার সঙ্গে ৫.১ ওভার ব্যাট করে ৬৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন। ১৫ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রায়ান বার্লের বলে ক্যাচ তুলে দেন চিটাগংয়ের এ অধিনায়ক। অন্যদিকে দলের সংগ্রহ দুইশ পার করে ১৯তম ওভারে আউট হন উসমান। তাসকিনের বলে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৬১ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। শেষদিকে হায়দার আলীর ৮ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংসে আসরের সর্বোচ্চ সংগ্রহ পায় চিটাগং।