বিপিএলের ১১তম আসরে দুর্দান্ত ফর্মে আছে রংপুর রাইডার্স। ঢাকায় হ্যাটট্রিক জয়ের পর সিলেট পর্বেও দাপট দেখিয়েছে দলটি। সোমবার (৬ জানুয়ারি) স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরও শক্ত করেছে রংপুর। সিলেটের ২০৬ রানের বড় লক্ষ্য মাত্র ১৯ ওভারে পেরিয়ে যায় রংপুর। ইংলিশ তারকা অ্যালেক্স হেলসের বিধ্বংসী ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস দলের জয় নিশ্চিত করে।
রংপুরের ৮ উইকেটের জয়ে ৮০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দুর্দান্ত অবদান রেখেছেন সাইফ হাসানও।
এ জয়ে টানা চার ম্যাচে চার জয় পেয়েছে রংপুর। বিপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় পেয়েছে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের দল।
সিলেটের দেয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না রংপুরের। প্রথম ওভারেই টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় ডাক মেরে আউট হন আজিজুল হাকিম তামিম।
তানজিম হাসান সাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে সর্বশেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষেও ডাক মেরেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক।
শুরুতেই ধাক্কা খেলেও সহজই পেয়েছে রংপুর। সহজ জয়টা এনে দিয়েছেন হেলস-সাইফ।
দ্বিতীয় উইকেটে ১৮৬ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে। ঘরের মাঠে সিলেটকে শুরুতেই যে হাসি এনে দিয়েছিলেন তানজিম সাকিব, তা ধীরে ধীরে মিইয়ে যায়। সিলেটের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে চার-ছক্কার পসরা সাজান দুই ব্যাটার হেলস-সাইফ। ব্যাটিংয়ের সময় যেন দুজনই প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন তারা। যেন কেউই কারও থেকে চার-ছক্কা মারতে পিছিয়ে থাকতে চাইছিলেন না।
হেলস-সাইফের ইনিংস দুটিই তার প্রমাণ। যদিও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি ৮০ রান করা সাইফ। রংপুর জয় থেকে যখন ১৮ রান দূরে ঠিক তখনই ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন বাংলাদেশের ব্যাটার। ১৬৩.২৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজান ৭ ছক্কা ও ৩ চারে। অন্যদিকে অনবদ্য ১১৩ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন হেলস। ২০১.৭৮ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৭ ছক্কার বিপরীতে ১০ চার।
সিলেট পর্বের প্রথম সেঞ্চুরিটি বিপিএলের ক্যারিয়ারে হেলসের দ্বিতীয়। এর আগে রংপুরের হয়েই প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ২০১৯ বিপিএলে চিটাগাং ভাইকিংসের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটার।