সিলেটে গিয়ে স্বরূপে ফিরেছেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক। বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৮ রানের পুঁজি পায় রাজশাহী। যা যথেষ্ট ছিল না। তামিম ইকবালের ব্যাটে ১৬৯ রানের লক্ষ্য ১৫ বল হাতে রেখেই তুলে নেয় বরিশাল।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান করে রাজশাহী। জবাবে ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে বরিশাল।
প্রায় সাত মাস বিরতির পর কিছুদিন আগে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি দিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন তামিম। চার ম্যাচ খেলে দুটি ফিফটি আদায় করেন, যেখানে রয়েছে একটি ৯১ রানের ইনিংস। এরপর বিপিএলের ম্যাচে মিরপুরে খুব একটা সুবিধা না করতে পারলেও সিলেটে ঠিকই জ্বলে উঠলেন তিনি। খেলেন হার না মানা ৮৬ রানের ইনিংস। ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায়।
আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেছিলেন তামিম। দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হওয়ায় এদিন শান্তকে বাদ একাদশ সাজায় দলটি। তামিমের সঙ্গে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার প্রিতম কুমার। তবে ব্যর্থ হয়েছেন তিনিও। মোহর শেখ অন্তরের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
কাইল মেয়ার্স অবশ্য কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন তামিমকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৪১ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। ব্যক্তিগত ২৪ রানে মেয়ার্সের বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়েন তাওহিদ হৃদয়। তাতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর মুশফিকের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৭৬ রানের জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তামিম। ২৪ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহীর প্রায় সব ব্যাটারই সেট হয়েছিলেন। তবে ইনিংস সে অর্থে লম্বা করতে পারেননি কেউই। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। কিন্তু বল খেলেছেন ৩৫টি। মূলত তার ধীর গতির ইনিংসই পিছিয়ে দেয় রাজশাহীকে। তাতে স্কোরবোর্ডে সন্তোষজনক পুঁজি মিলেনি দলটির।
তরুণ ব্যাটার জিসান আলম ২৭ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩৮ রান। ইয়াসির আলী খেলেছেন ২৩ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৯ রানের ইনিংস। এছাড়া ২২ রান আসে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাট থেকে। বরিশালের পক্ষে ২০ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।