বছরের শুরুতেই ফুটবলভক্তদের জন্য সুখবর। স্প্যানিশ সুপারকোপার ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ক্লাব ফুটবলের দুই পরাশক্তি দল বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। বিশ্বব্যাপী এই দুই দলের লড়াই এল ক্লাসিকো নামেই ব্যাপক পরিচিত। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ জানুয়ারি।
স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মার্য়োকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে মার্য়োকাকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় মিনিটে লুকাস ভাসকেসের শট ঠেকিয়ে দেন মায়োর্কা গোলরক্ষক ডোমিনিক গ্রাইফ। পরের মিনিটে রদ্রিগোর শটও ফিরিয়ে দেন তিনি।
সপ্তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। বল বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। চার মিনিট পর অহেলিয়া চুয়ামেনির শট ঠেকিয়ে দেন গ্রাইফ।
পঞ্চদশ মিনিটে আবারো দারুণ রিফ্লেক্সে রিয়ালকে হতাশ করেন গ্রাইফ। জটলার মধ্য থেকে জুড বেলিংহ্যামের জোরাল শট তিনি দেখতে পান অনেক পরে। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ দক্ষতার ফিরিয়ে দেন বল।
খেলার ধারার বিপরীতে তিন মিনিট পর গোল হজম করতে বসেছিল রেয়াল। সের্গি দারদেরের ক্রসে ঠিকমতো হেড করতে পারেননি কাইল লারিন। ৩০তম মিনিটে দুই ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে শট নেন লারিন। তবে বল চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
৪৫তম মিনিটে এমবাপ্পের ক্রস হোয়ান মোহিকা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে দারুণ সুযোগ পান বেলিংহ্যাম। কলম্বিয়ান ডিফেন্ডারের অভাবনীয় ব্যর্থতায় একটু চমকে যাওয়ায় প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেরি করে ফেলেন তিনি। তাই একটুর জন্য বলের নাগাল পাননি ইংলিশ মিডফিল্ডার। এতে গোল শূন্য থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আক্রমণাত্মক ফুটবলে মায়োর্কাকে বেশ চাপে রাখে রিয়াল। ৬৩তম মিনিটে ভিনিসিয়ুসের কাটব্যাকে রদ্রিগোর হেড ফেরে পোস্টে লেগে ফিরতি বলে এমবাপের বুলেট গতির শট ঠেকান গ্রাইফ। কিন্তু বেলিংহ্যামের শট আর আটকাতে পারেননি গোলরক্ষক।
এদিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করার চমৎকার সুযোগ হাতছাড়া করেন ভিনিসিয়ুস। ৭৬তম মিনিটে শট লক্ষ্যেই রাখতে পারেননি তিনি। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে নিজেদের ভুলেই সব আশা শেষ হয়ে যায় মায়োর্কার। প্রতিপক্ষের একটি দুর্বল শট আটকাতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন ডিফেন্ডার ভালিয়েন্ত।
এর তিন মিনিট পর ব্যবধান ৩-০ করেন রদ্রিগো। ডান দিক থেকে ভাসকেসের বাড়ানো ক্রস গোলমুখে দূরের পোস্টে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ার শটে বল জালে পাঠান রদ্রিগো। দলকে ফাইনালে নেওয়ার সঙ্গে গোল দিয়ে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।