ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে দুটি পরিবর্তন করলেন আর্নে স্লট। ২২ সেকেন্ড যেতেই সেই দুইজনের নৈপুণ্যেই আসে গোল। একজন লক্ষ্যভেদ করেছেন, আরেকজন করেছেন অ্যাসিস্ট। স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় স্লটের এই কৌশলগত মাস্টারপিস নিয়ে। কিন্তু এর জন্য কোনো কৃতিত্ব নিতে রাজি নন এই কোচ।
মঙ্গলবার রাতে দ্য সিটি গ্রাউন্ডে নটিংহ্যাম ফরেস্টের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে লিভারপুল। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা দুই দলের লড়াই শুরু থেকেই ছিল জমজমাট। অষ্টম মিনিটে ক্রিস উড স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। এরপর একের পর এক আক্রমণেও যখন ফরেস্টের রক্ষণ ভাঙা সম্ভব হচ্ছিল না, তখন দ্বিতীয়ার্ধের দুই বদলই কাজে লাগে রেডদের।
মৌসুমজুড়ে লিভারপুলকে আগের দিনের মতো এমন সংগ্রাম করতে খুব কমই দেখা গেছে। তবে ৬৬তম মিনিটে করা জোড়া পরিবর্তন ম্যাচের গতিপথ বদলে দেয়। দুই ডিফেন্ডার অ্যান্ড্রু রবার্টসন ও ইব্রাহিমা কোনাটেকে পরিবর্তন করে দিয়াগো জোটা ও কস্তাস সিমিকাসকে মাঠে নামান স্লট। ফলাফল আসে মাত্র ২২ সেকেন্ডে।
সিমিকাসের নেওয়া কর্নার কিক থেকে জোটার হেডে সমতা ফিরে পায় লিভারপুল। যা ছিল জোটার প্রথম স্পর্শ। এবং ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এটি ছিল প্রিমিয়ার লিগে একজন বদলি খেলোয়াড়ের দ্রুততম গোল।
তবে এই ঘটনাকে কোনো কৌশলগত মাস্টারপিস হিসেবে মানতে নারাজ স্লট, 'যদি এটি ওপেন প্লে থেকে হতো, তাহলে হয়তো বলা যেত এটা কৌশলগত মাস্টারপিস, কিন্তু যেহেতু এটি সেট-পিস থেকে হয়েছে, তাই আমার মনে হয় না এর জন্য আমি কোনো কৃতিত্ব দাবি করতে পারি।'
'এটি ছিল এমন একটি পরিবর্তন যেখানে আমরা একজন ডিফেন্ডারের বদলে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড়কে এনেছি এবং এটি সঙ্গে সঙ্গে একটি গোলের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই এটাকে আপনি ভাগ্য বলতে পারেন,' যোগ করেন এই কোচ।
তবে টানা দুইটি লিগ ম্যাচে ড্রয়ের হতাশা লুকিয়ে রেখে স্লট বলেন, 'আমার মনে হয় নতুন বছরে তিনটির মধ্যে দুই ম্যাচে আমরা যা পেয়েছি তার চেয়ে বেশি প্রাপ্য ছিল আমাদের। আমাদের দু'দলের তৈরি করা সুযোগগুলো দেখলে ২-২ এর চেয়ে বেশি প্রাপ্য ছিল আমাদের। বারবার এমন হচ্ছে যে আমরা যা প্রাপ্য, তা পাচ্ছি না এবং এটি দ্রুত ঠিক করতে হবে।'