নেপালের বিপক্ষে জয় দিয়েই অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সে ধারাবাহিকতায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের খুব কাছে যায় টাইগ্রেসরা। তবে অল্পের জন্য পারজয় বরণ করতে হয় সুমাইয়া আক্তারদের। কিন্তু মাত্র ৯১ রানের সংগ্রহ নিয়েও অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। যদিও শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে হারে তারা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে চলমান বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৯ উইকেটে ৯১। তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া জয়ে পৌঁছায় ৮ উইকেট হারিয়ে ও মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে।
৯২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া দুই ওপেনার ক্যাট পেলে ও ইনেস ম্যাকিওনের কাছ থেকেই ২৬ রান পেয়ে যায় মাত্র ৩ ওভারের মধ্যেই। ২ চার ১ ছয়ে ৯ বলে ১৪ রান তুলে ফেলা ম্যাকিওন রানআউট হলে অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি কমে। যদিও ওই ১ উইকেট হারিয়ে পঞ্চাশ রানেও পৌঁছে যায় দলটি। এরপর জান্নাতুল মাওয়া পেলকে (১৮ বলে ১৬ রান) আউট করলে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরতে শুরু করে। ৫০ থেকে ৬৭-এই ১৭ রানের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার উইকেট ১ থেকে ৬-এ পরিণত হয়।
অজিদের সাতে নামা এলা ব্রিসকো একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিলেও ৮৬ রানে অষ্টম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের হাতে ছিল ৪ রানের পুঁজি। ফাহমিদা ছোঁয়ার করা ওই ওভারে ৪ রান তুলে ম্যাচ সমতায় নিয়ে আসে অস্ট্রেলিয়া। তবে মিড অফে থাকা ফিল্ডার সরাসরি নন স্ট্রাইকের স্টাম্প ভাঙতে পারলে এই ওভারে নবম উইকেটও পেয়ে যেত বাংলাদেশ। সেটা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচও জেতেনি বাংলাদেশ।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ট্রাইগেরদের মধ্যে দুজন ছাড়া কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে রান তুলতে পারেননি। সাতে নামা আফিয়া আসিমা রানআউট হওয়ার আগে করেন সর্বোচ্চ ২৯ রান। তার ৩৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল ২টি চার ১টি ছয়। এ ছাড়া ওপেনার সুমাইয়া আক্তার করেন ১৩ বলে ১৩ রান। বল হাতে দলের হয়ে সবচেয়ে বড় অবদানটি রাখেন মাওয়া, ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট।
‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ বুধবার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল সুমাইয়া আক্তারের দল।