মাঠের ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদের ধারকাছে নেই কোনো ক্লাব। ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাই জিতেছে তারা। তেমনি আয়ের দিকেও শীর্ষে দলটি। ফুটবল বেঞ্চমার্কের ২০২৫ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স প্রতিবেদন অনুযায়ী ইতিহাসের প্রথম ফুটবল ক্লাব হিসেবে ক্লাবটি স্পর্শ করেছে এক বিলিয়ন ইউরোর মাইলফলক।
ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের নেতৃত্বাধীন রিয়াল মাদ্রিদ ১.০৬৫ বিলিয়ন ইউরো আয় করে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করেছে। ৮৩৮ মিলিয়ন ইউরো আয় করে ম্যানচেস্টার সিটি দ্বিতীয় এবং ৮০৬ মিলিয়ন ইউরো আয় করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পিএসজি।
মূলত রিয়ালের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নতুন বার্নাব্যু স্টেডিয়াম। ম্যাচ আয়োজন করে ২৫১ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে ক্লাবটি, যা আগের বছরের তুলনায় ২৮% বেশি। নতুন ভিআইপি সিটে অতিরিক্ত ৮৩ মিলিয়ন ইউরো আয় হয়েছে তাদের। এছাড়া মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন চুক্তিতে বাণিজ্যিক আয় ২৬% বৃদ্ধি পায় এবং সম্প্রচার আয় বেড়েছে ৮%, যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের ফলে সম্ভব হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদের স্কোয়াডের বাজারমূল্য ১.৩৬৪ বিলিয়ন ইউরো, যা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে এগিয়ে রেখেছে। একই সঙ্গে ক্লাবের ব্যবসায়িক মূল্য ৫.০৯৭ বিলিয়ন ইউরো, যা বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে।
একাডেমির খেলোয়াড় বিক্রি করেও বড় অঙ্ক আয় করেছে রিয়াল। ২০২৪-২৫ মৌসুমে একাডেমি থেকে মূল দলে আসা খেলোয়াড়দের সংখ্যা, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত একাডেমি খেলোয়াড়দের বিক্রয় আয় এবং ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল থেকে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-২১ খেলোয়াড়দের মাঠে কাটানো মিনিটের শতাংশ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যেখানে তাদের আয় ২১৮ মিলিয়ন ইউরো।
তবে আয়ের মতো ব্যায়ও বেড়েছে রিয়ালের। বর্তমানে তাদের ক্লাবের কর্মী খরচ ৫০৫ মিলিয়ন ইউরো, যা আগের বছরের তুলনায় ১২% বেশি। তবে এটি হয়েছে মূলত ক্রীড়া সাফল্যের জন্য দেওয়া ৪১ মিলিয়ন ইউরোর বোনাসের কারণে। তবে কর্মী খরচ ও অপারেটিং আয়ের অনুপাত (৪৭%) দিক থেকে দক্ষতা দেখিয়েছে ক্লাবটি। ১৬ মিলিয়ন ইউরো নিট লাভ দিয়ে আর্থিক বছর শেষ করেছে, যা বড় বিনিয়োগের পরেও ক্লাবটির আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রমাণ।