কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইনরা জানতে পেরেছে, মেসি-ম্যারাডোনাদের জন্য হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে অকুণ্ঠ সমর্থন ও শর্তহীন ভালোবাসা। মেসিরা জিতলে তারা জিতে, মেসিরা হারলে তারা কাঁদে। সমর্থন ছাপিয়ে রূপ নেয় ভালোবাসার মিল বন্ধনে। তাইতো, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সমর্থন নজর এড়ায়নি খোদ আর্জেন্টাইন ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসির।
আর্জেন্টিনা থেকে ১৭ হাজার কিলমিটার দূরের ভূখণ্ড মেসির দেশ নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে যে উন্মাদনা ছড়িয়েছিলো, তা নজর কেড়েছিলো পুরো বিশ্বের। মেসির প্রতি ভালোবাসায় গোটা দুনিয়ায় সাড়া ফেলা সেই বাংলাদেশের কথা কি পৌঁছায়নি লিওর কানে?
নিজ মুখে নাম উচ্চারণ না করলেও বাংলাদেশে তার বিপুল সমর্থন নিয়ে ওলে’র সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
ওলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফুটবল মহাতারকা মেসি বলেন, হ্যাঁ, আমি দেখেছি। সব জায়গায় ১০ নম্বর জার্সি, বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে সোফি মার্টিনেজ (আর্জেন্টাইন সাংবাদিক) আমাকে দেখিয়েছিল। আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি এভাবে পৃথিবীর নানা প্রান্তে দেখা, সত্যিই দুর্দান্ত।
সাক্ষাৎকারে মেসি আরও বলেন, বিশ্বকাপের সময়ে আর্জেন্টিনার সাধারণ মানুষ অনেক উপভোগ্য সময় কাটিয়েছে। তারা তাদের দুঃখ–দুর্দশা ভুলে এ সময়ে শুধু ফুটবল নিয়ে ভাবতে পেরেছে। আর্জেন্টিনার সাধারণ মানুষদের নিয়ে এ কথা বলার পরই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রসঙ্গটি উঠে আসে।
এর আগে, বিশ্বকাপ চলাকালে স্কালোনি বাংলাদেশকে নিয়ে বলেছিলেন, আমার মনে হয়, প্রথমে ডিয়েগো (ম্যারাডোনা), পরে মেসির কারণে আর্জেন্টিনার ফুটবলের সমর্থক বেড়েছে। বাংলাদেশে আমাদের এমন সমর্থন আছে জেনে আমি গর্বিত। শুধু বাংলাদেশেই নয়, অন্য অনেক দেশের মানুষও আমাদের সমর্থন করে।
যে ভালোবাসা নিয়ে এই বাংলায় উড়েছিলো আকাশি নীল পতাকা সেই ভালোবাসায় বুয়েনস আইরেসে রঙও হয়েছিলো লাল-সবুজ। সেই ভালোবাসার শক্তিতো এতোটাও কম নয় যে মেসিকে নাড়িয়ে যাবে না।