সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের সদস্য মাতসুশিমা সুমাইয়া ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি পাওয়ার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিল থানায় তিনি এ জিডি করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মিডিয়া ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ নওমী।
জিডির আবেদনে বলা হয়, গত ২ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি ফুটবল খেলার ভিডিও আপলোড করার পর কিছু অসাধু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের প্রাণনাশ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে বানোয়াট ভিত্তিহীন কমেন্ট ও ম্যাসেজ করে মানসিক হয়রানিও করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় নিজের জীবন হুমকির মুখে ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জিডির আবেদনে জানান মাতসুশিমা সুমাইয়া।
বাংলাদেশি বাবা মাসুদুর রহমান ও জাপানি মা মাতসুশিমা তমোমির একমাত্র মেয়ে মাতসুশিমা সুমাইয়া। তাঁর জন্ম জাপানে। ফুটবলের টানে বাংলাদেশে আসেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে পারিবারিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চলছে বলে জিডির আবেদনে তিনি অভিযোগ করেন। হুমকির দেয়ার বিষয়টি স্ক্রিনশট নিয়ে তিনি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন।
জাতীয় দলের কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে কিছুদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন দলের কয়েকজন সিনিয়র সদস্য। এদের মধ্যে মাতসুশিমা সুমাইয়াও রয়েছেন। কোচের সঙ্গে ফুটবলারদের সমস্যা সমাধানে বাফুফে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন সুমাইয়া। সেখানে বলা হয়, ‘কয়েক দিন ধরে, আমি অসংখ্য হত্যা এবং ধর্ষণের হুমকি পেয়েছি। এমন সব কথা যা আমাকে এমনভাবে ভেঙে দিয়েছে যা আমি কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করিনি। আমি জানি না এই (ট্রমা) আঘাত থেকে সেরে উঠতে আমার কতক্ষণ লাগবে। তবে আমি জানি এবং চাই যে কাউকে শুধু তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কখনো যেতে হবে না।’