
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সমীকরণ ছিল সহজ। সিরিজ জিতলেই সরাসরি বিশ্বকাপে যেতে পারত নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সেই কাজটা অনেকটা সহজ করে রেখেছিল তারা। কিন্তু শেষ ম্যাচের হারের কারণে সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। উইমেন্স ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপে ৭ম স্থানে থেকে বাংলাদেশ চলে যায় বাছাইপর্বের জটিলতায়।
বুধবার থেকে পাকিস্তানের মাটিতে শুরু হচ্ছে সেই বাছাইপর্ব। ভারতের মাটিতে চলতি বছরের নভেম্বরে হবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ৬ দলের বাছাইপর্ব শেষে যেখানে জায়গা করে নেবে দুই দল। আর এখানেই বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে অপেক্ষা করছে শক্ত দুই প্রতিপক্ষ।
রাউন্ড রবিন পদ্ধতির এই বাছাইপর্বে প্রতিটি দল একে অন্যের মুখোমুখি হবে। যে কারণে প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। পা হড়কানোর কোনো সুযোগ থাকছে না। বাছাইপর্বে প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের সামনে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং থাইল্যান্ড।
৫ প্রতিপক্ষের মাঝে কাউকেই খুব একটা হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ থাকছে না। ক্যারিবিয়ান নারীরা বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই বেশ দুর্দান্ত। স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে পাকিস্তান। আর আয়ারল্যান্ডের কাছে গেল বছরই ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। তাই খুব একটা সহজ হচ্ছে না বাংলাদেশের লড়াই সেটা সহজেই বলা চলে।
দেশ ছাড়ার আগমুহূর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধান কোচ সারোয়ার ইমরান বলেন, ‘পাকিস্তানে পাঁচটা ম্যাচই আমরা ওয়ান বাই ওয়ান জিততে চাই। সেখানে আমাদের সঙ্গে দুইটা শক্তিশালী দলের খেলা রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তান বাদে বাকি দলগুলোকেও আমরা ছোট করে দেখছি না, তবে তাদের বিপক্ষে জিতে কোয়ালিফাই করতে চাই।’
আসরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১০ তারিখ। যেখানে প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড। ১৩ এপ্রিলের ম্যাচে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। ১৫ তারিখ স্কটল্যান্ড, ১৭ তারিখ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ১৯ তারিখ পাকিস্তানের বিপক্ষে নামবে জ্যোতি-নাহিদারা।