বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা গত ছয় মাসের মধ্যে সাফের তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে। এর মধ্যে জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। অথচ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) থেকে সাবিনা খাতুনরা নামমাত্র সম্মানী পান। তবে এবার বাঘিনীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বাফুফে।
বাংলাদেশ নারী জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা মাসে মাত্র ১০ হাজার টাকা করে বেতন পান। তাই সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই তাদের বেতন বাড়ানো নিয়ে কথা উঠেছে। এবার বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের কাছে ৫ গুন বেতন বাড়ানোর দাবিও করেছেন নারী ফুটবলাররা।
এ প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘মেয়েদের সঙ্গে বসেছিলাম। তারা কিছু দাবী করেছে, যা সম্পূর্ণ যৌক্তিক। ওদের আমরা মাসে ১০ হাজার টাকা দিয়ে থাকি। এই টাকা দিতেই তো আমাদের জান বের হয়ে যাচ্ছে। এখন ওরা ৫০ হাজার টাকা করে চেয়েছে।’
কাজী সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘ওরা ম্যাচ ফিও চেয়েছে। তাদের খাওয়ারও সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে। এখন আমরা একজনকে দিনে ৭০০ টাকা খাওয়ার খরচ দেই। তাতেও মেয়েদের হচ্ছে না। তাদের আরো খাদ্য দরকার। এখন তারা যে খাদ্য চাচ্ছে তাতে প্রতিদিন ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা লাগবে। এ ছাড়াও মেয়েরা চেয়েছে উন্নতমানের বুট। ওরা যা যা চেয়েছে সবাই যৌক্তিক।’
বাফুফে বস বলেন, ‘ওরা যে জিনসগুলো চেয়েছে সেটা আমরা খেলোয়াড় থাকতে পাইনি। তার মানে এই নয় যে, আমি থাকতে ওরা পাবে না। এখন আমি চেষ্টা করছি এগুলোর ব্যবস্থা করতে পারি কিনা। ওরা ৫০ হাজার টাকা করে চেয়েছে। আমি দিতে চাই ৪০ হাজার টাকা করে। তার পর দেখা যাক কি হয়।’
কতজন নারী ফুটবলারকে মাসে ৪০ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে? এমন প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘এটা শুধু জাতীয় দলের জন্য। জাতীয় দলের খেলোয়াড় ধরা হয় ৩০ জন। বাকি ৩০ জন বয়সভিত্তিক। আমরা ক্যাটাগরি করে মেয়েদের বেতন বাড়িয়ে দেবো।’
ফুটবলারদের বেতন বাড়ানোর কথা উঠলেও দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আপনাদের চিন্তা করতে হবে না। তাদেরকে কিভাবে সাপোর্ট দেবো সে চিন্তা আমার আছে।’