সাত দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে গাজায় আবারও ইসরায়েলের হামলার ঘটনা ঘটেছে। গোলাগুলির শব্দও শোনা গেছে। ইসরায়েল বলেছে, তারা গাজায় হামাসের সঙ্গে আবারও যুদ্ধ শুরু করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, হামাস ইসরায়েলের দিকে রকেট ছুড়েছে। তারা গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেট গুলি করেছে ধ্বংস করেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছে তারা। খবর-বিবিসি
হামাস পরিচালিত জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে- দক্ষিণ গাজায় বেশ কয়েকটি বিমান থেকে হামলা করা হয়েছে।
গাজায় বিবিসি সূত্রও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো বলছে, উত্তর গাজায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। গাজা শহরের উত্তর-পশ্চিমে গোলাগুলি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর আবার এই যুদ্ধ শুরু হলো। মধ্যপ্রাচ্য সফররত ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার তেল আবিবে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েছেন যে, তারা যেকোনো সময় সামরিক অভিযান আবার শুরু করতে চান। এর প্রেক্ষিতে ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলকে কয়েকটি বিষয় মেনে চলার অনুরোধ করেছিলেন যা হলো; যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার আগে মানবিক বেসামরিক সুরক্ষা পরিকল্পনা স্থাপন, বেসামরিক নাগরিকদের স্থানচ্যুতি এড়ানো এবং হাসপাতাল, পাওয়ার স্টেশন ও পানীয় সুবিধার মতো অবকাঠামোগুলোর ক্ষতি এড়িয়ে চলা।
হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরুতে চার দিন স্থায়ী ছিল। পরে দুই দফা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয় যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বলবৎ ছিল। ২৪ নভেম্বর যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় আটক ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েল ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে।
হামাস-সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স ও আলজাজিরা জানিয়েছে, উত্তর গাজায় বিশেষ করে গাজা শহরের উত্তর-পশ্চিমে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। এই ঘটনাটি গাজার আকাশে ইসরায়েলি সামরিক ড্রোন ও যুদ্ধবিমানগুলোর ঘোরাঘুরির সঙ্গে মিলে গেছে বলে জানিয়েছেন আল জাজিরার রিপোর্টার তারেক আবু আজজউম আজজউম যিনি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে সংবাদ সংগ্রহ করছেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়। এর জবাবে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অভিযানে প্রায় ৬ হাজার শিশুসহ ১৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।