ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও লেবাননের সশস্ত্রীগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে সহযোগিতার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে ইরান। তাই ইরান এবং এর মিত্র দেশগুলোর হাত থেকে ইসরাইলকে রক্ষার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।
পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ ইরান বা ইরানের অংশীদার এবং প্রক্সিদের দ্বারা আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ওয়াশিংটন। ইসরাইল প্রতিরক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, প্রতিরক্ষাসক্ষম ক্রুজার, ডেস্ট্রয়ার এবং একটি নতুন ফাইটার স্কোয়াড্রন পাঠানো হয়েছে।
গোলান মালভূমিতে হামলায় হতাহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বৈরুতে হামলা চালায় ইসরাইল। এ হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকর। এর পরদিন বুধবার (৩১ জুলাই) ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের দায় এখনও স্বীকার করেনি ইসরাইল।
এদিকে এ হামলার জন্য সরাসরি ইসরাইলকেই দায়ী করছে ইরান। আর এ হত্যার জন্য তেলআবিবকে ‘কঠোর শাস্তি’ পেতে হবে বলে হুমকি দিয়েছে দেশটি।
অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে আরও ৩৫ জন নিহত হয়েছে, সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ৫৫ জন। এ নিয়ে গাজায় মোট নিহত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৪৮০ জন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি বাহিনীর গত ২৪ ঘণ্টার বোমা হামলায় নিহত ও আহত হয়েছেন তারা। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই চাপা পড়েছেন। চাপা পড়েছেন তাদেরকে গণনার মধ্যে ধরা হয়নি।”