যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৩ হাজার ২০০। এছাড়া লেবাননেও ইসরায়েলের অতর্কিত হামলায় আরো ৪৫ লেবানিজ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৬ স্বাস্থ্যকর্মী।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
দেশটির মেডিকেল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনিই প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ উত্তর গাজায়।
গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত লাহিয়া এলাকায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। আবার তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে উত্তর গাজাজুড়ে একাধিক বিমান হামলায় অন্তত ৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডজুড়ে অন্যান্য স্থানে আরও অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।
এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ২০৪ জনে পৌঁছেছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়া এক বছরেরও বেশি সময় চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরো লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বৃহস্পতিবার সারা দেশে ইসরায়েলের বর্বর হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ লেবাননে পৃথক হামলায় কমপক্ষে ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।
মূলত গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চলছে।
হিজবুল্লাহও পাল্টা আঘাত হানছে। গত সপ্তাহে লেবাননে অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর ৭০ জন সেনাকে হত্যার দাবি করেছে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। অবশ্য ঠিক কত দিনে এই সেনারা নিহত হয়েছেন, তা এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেনি গোষ্ঠীটি।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮৬৫ জন নিহত এবং ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।