মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সদ্য নির্বাচিত রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে সুসি উইলসকে নিয়োগ দিয়েছেন। ৬৭ বছর বয়সী সুসি হবেন হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ। নির্বাচনে জয়ের পর এটিই হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের দেয়া প্রথম নিয়োগ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন সুসি উইলস এবং নির্বাচনে জয়ের পর রাতের ভাষণে সুসির প্রশংসাও করেছিলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেছিলেন, সুসি নেপথ্যে থেকে কাজ করতে পছন্দ করেন।
পরে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, সুসি একজন কঠোর, স্মার্ট, উদ্ভাবনী এবং সর্বজনীনভাবে প্রশংসিত ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আমেরিকাকে আবার গ্রেট করার জন্য সুসি অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, সুসি উইলস আমাকে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিজয়গুলোর মধ্যে অন্যতম এক বিজয়কে অর্জন করতে সাহায্য করেছেন।
এ ছাড়া সামাজিকমাধ্যম এক্সেও সুসিকে নিয়ে লিখেছেন ট্রাম্প। সেখানে লিখেছেন, সুসি দলকে নেতৃত্ব দিতে এবং আমেরিকা ফার্স্ট এজেন্ডা প্রদানে সহায়তা করার জন্য অসাধারণভাবে কাজ করবেন।
হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সাধারণত প্রতিটি প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা মূলত হোয়াইট হাউসের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন এবং প্রেসিডেন্টের কর্মীদের মাঝে সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকেন। পাশাপাশি, নীতিগত বিভিন্ন বিষয়ে তারা প্রেসিডেন্টকে পরামর্শও দিয়ে থাকেন এবং নীতি উন্নয়নের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত, এতদিন ধরে এ পদের দায়িত্বে পুরুষেরা থাকলেও সুসি হবেন প্রথম নারী, যিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে রোনাল্ড রিগানের নির্বাচনি প্রচারশিবিরে কাজ করার মধ্য দিয়ে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে ফ্লোরিডার গভর্নর হন।
এরপর ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রাইমারির সময় সুসি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার ফ্লোরিডা প্রচারণার সহসভাপতি হন।