মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) প্রধান হচ্ছেন জন র্যাটক্লিফ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ তার নাম ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মে মাস থেকে জানুয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত র্যাটক্লিফ দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (ডিএনআই) প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছিলেন।
অতি সম্প্রতি তিনি ট্রাম্পের রাজনৈতিক অবস্থানের পক্ষে ওকালতি করা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর আমেরিকান সিকিউরিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। আর ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচার চলাকালে এই রিপাবলিকান প্রার্থীকে জাতীয় নিরাপত্তা নীতি বিষয়ে পরামর্শ দেন।
সিআইএ প্রধান হিসেবে র্যাটক্লিফের মনোনয়ন ঘোষণা করে দেয়া বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা প্রধানের উভয় পদেই দায়িত্বপালন করা প্রথম ব্যক্তি হতে যাচ্ছেন জন, এর অপেক্ষায় আছি আমি। তিনি জাতীয় নিরাপত্তার সর্বোচ্চ স্তর নিশ্চিত করার পাশাপাশি সব আমেরিকানের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য একজন নির্ভীক যোদ্ধা হবেন এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত করবেন।”
মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য র্যাটক্লিফ ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মে-তে ডিএনআইয়ের পরিচালক পদে তার মনোনয়নের শুনানিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি এই পদে থাকাকালে ‘যথাসময়ে বস্তুনিষ্ঠ গোয়েন্দা তথ্য’ সরবরাহ করবেন।
পাশাপাশি তিনি ইরানের সামরিক বাহিনী, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের মতো অন্য বিষয়গুলোও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সেনেট যখন ডিএনআইয়ের প্রধান হিসেবে র্যাটক্লিফের নিয়োগ নিশ্চিত করে তখন সব ডেমোক্র্যাট সেনেটরা তার মনোনয়নের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন, তখন তারা তার অভিজ্ঞতার অভাব এবং দলীয় পক্ষপাতের বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন।
আগামী বছর আবার মার্কিন সেনেট রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে যাচ্ছে। আর এবার ডিএনআইয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালনের ওই অভিজ্ঞার কারণে র্যাটক্লিফ আর আগের মতো অনঅভিজ্ঞ নন। তাই এবার তিনি সহজেই সিআইয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য নীতির সমালোচক
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত মোকাবেলায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার সমালোচনা করেছেন র্যাটক্লিফ।
জুনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি বলেছিলেন, “গাজায় সামরিক পদক্ষেপের কারণে ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান বন্ধ করে বাইডেন প্রশাসন এক প্রধান মিত্রকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।”
ওই নিবন্ধে তিনি তিনি মন্তব্য করেন, “বাইডেন প্রশাসন ইরানের বিষয়ে যথেষ্ট কঠোর হয়নি।”