হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনের কাছে পরাস্ত হয়েই হোয়াইট হাউস ছাড়তে হয়েছিল ট্রাম্পকে। এ বার বাইডেনের ডেপুটি কমলা হ্যারিসকে পরাস্ত করে ফের আমেরিকার ‘সাদা বাড়ি’তে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন ট্রাম্প।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ওভাল অফিসে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বৈঠক হয়, যা দেশটির ক্ষমতার পালাবদলের ঐতিহ্যের অংশ। খবর আলজাজিরার।
দুই নেতা ক্যামেরার সামনে হ্যান্ডশেক করে একে অপরকে অভিবাদন জানান। এ সময় বাইডেন ট্রাম্পকে বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণ পালাবদলের’ অপেক্ষায় রয়েছেন।
বাইডেন বলেন, ‘আমি মসৃণ (ক্ষমতা) হস্তান্তরের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। আপনার যা প্রয়োজন আমরা তা নিশ্চিত করার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা আজ সেই বিষয়ে কিছু কথা বলার সুযোগ পেতে যাচ্ছি।’ জ্বলন্ত ফায়ারপ্লেসের সামনে ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করে বাইডেন বলেন, ‘ওয়েলকাম ব্যাক (ফিরে আসায় স্বাগতম)।’
ট্রাম্পও বাইডেনকে আশ্বস্ত করে জানান, রূপান্তর প্রক্রিয়াটি ‘আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী মসৃণই’ হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘রাজনীতি কঠিন, অনেক ক্ষেত্রে এটি খুব সুন্দর জায়গা নয়। তবে, এটি আজ একটি সুন্দর জায়গা এবং আমি এমন একটি পরিবর্তনের খুব প্রশংসা করছি, যেটা হতে যাচ্ছে মসৃণ এবং যতটা সম্ভব মসৃণ।’
আগামী ২০ জানুয়ারি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিষেক হবে। প্রায় দুই মাস আগের এ বৈঠকের বিষয়ে ট্রাম্প গণমাধ্যমকে বলেন, বাইডেন ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে কথা বলেছেন।
ট্রাম্প নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘আমি তার মতামত জানতে চেয়েছিলাম এবং সে আমাকে দিয়েছে। এ ছাড়া আমরা একইভাবে মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কেও অনেক কথা বলেছি। আমরা কোথায় আছি এবং তিনি কী ভাবছেন, সে সম্পর্কে আমি তার মতামত জানতে চেয়েছিলাম। তিনি সেগুলো আমাকে বলেছেন এবং তিনি খুব আন্তরিক ছিলেন।’
ট্রাম্প আরো বলেন, দুজনেই বৈঠকের সময়টি উপভোগ করেছেন। নির্বাচনি প্রচারণাকালে ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখায় তিনি বাইডেনের প্রশংসা করেছেন।
বাইডেন ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করেছিলেন। তাদের মধ্যে এবারের বৈঠকটি চার বছর আগের ঘটনাগুলোর তীক্ষ্ণ পরিবর্তন নির্দেশ করে। ট্রাম্প ওই সময় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন এবং বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে বা তার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অস্বীকার করেছিলেন।