জীবনযাত্রার খরচ এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে অর্থনৈতিক সংকটে জাপান। বেড়েছে দেউলিয়াত্বের আবেদনের সংখ্যাও। যা দেশটির নতুন সরকারের ওপরও চাপ বাড়াচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, জ্বালানি আর জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে জাপানিরা। এবারের নির্বাচনেও তা ছিল মূল বিষয়। খাদ্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে জনপ্রিয় খাবার রামেনেও।
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে রামেনের দাম ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে রেখে ব্যবসা চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন রেস্টুরেন্ট মালিকরা। দেড় বছর আগেও এক বাটি রামেনের দাম ছিল ১ হাজার ইয়েনের কম। এখন যা ১৫০০ ইয়েন। রামেন তৈরীর উপাদান শুকর ও মুরগির মাংস, গম, সামুদ্রিক শৈবাল, বাঁশকোড়ল, পেঁয়াজ, সয়াসস ও তেলের দাম বেড়েছে গড়ে ৪৭ শতাংশ। তাতেই চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে ১০ মিলিয়ন ইয়েনেরও বেশি ঋণের দায় নিয়ে অন্তত ৪৯ জন রামেন ব্যবসায়ি দেউলিয়াত্বের আবেদন করেছেন।
১৯৫৫ সাল থেকে দেশটির নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির জয়জয়কার। লম্বা সময় রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করা দলটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি মূল্যস্ফীতি। রামেন ব্যবসায়ীরা যেন দেশটির সাধারণ ব্যবসায়ী মহলের প্রতীক। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে ভর্তুকি ও জ্বালানি খরচ কমানোর দাবি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে।
জাপানের ডাইচি লাইফ রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ টোশিরো নাগাহামা বলেন, "যেসব প্রতিষ্ঠান ভালো পণ্য সরবরাহ করে, তারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে কোনভাবে টিকে যাচ্ছে। কিন্তু যারা এমনটা পারছে না, এমন অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। "
বর্তমানে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি আড়াই শতাংশ বলেও জানা যায়।