কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বহু মানুষের হতাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
আজারবাইজানের বাকু থেকে ৭২ জন আরোহী নিয়ে চেচনিয়ার গ্রজনিতে যাওয়ার পথে কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হয়েছে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কাজাখস্তানের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার আকতাউ শহরের কাছে এ ঘটনার পর জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও বহু মানুষ হতাহতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ৬৭ জন যাত্রী এবং পাঁচজন ক্রু ছিলেন ওই এমব্রায়ার-১৯০ উড়োজাহাজে। সেটি মাটিতে আছড়ে পড়ার পর বিস্ফোণে অগ্নিগোলক তৈরি হয় এবং কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ৬৭ জন যাত্রী এবং পাঁচজন ক্রু ছিলেন ওই এমব্রায়ার-১৯০ উড়োজাহাজে। সেটি মাটিতে আছড়ে পড়ার পর বিস্ফোণে অগ্নিগোলক তৈরি হয় এবং কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
কাজাখস্তানের জরুরি সেবা বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন এবং দুই শিশুসহ বেঁচে যাওয়া আরোহীদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে ভূমিতে পড়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়। জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মীরা সেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে জীবিত কেউ রয়েছেন কি না সেই সন্ধানও শুরু হয়েছে। কারণ ধারণা করা হচ্ছে যে ধ্বংস হয়ে যাওযা বিমানটিতে এখনো কয়েকজন জীবিত রয়েছেন।
কাজাখস্তানের পরিবহন মন্ত্রণালয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে লিখেছে, ‘বাকু-গ্রোজনি রুটে যাওয়া উড়োজাহাজটি আকতাউ শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। উড়োজাহাজ আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ছিল।’
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বিধ্বস্তের আগে জরুরি অবতরণের জন্য অনুরোধ করেছিল উড়োজাহাজটি।
রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনির দিকে উড্ডয়ন করেছিল, কিন্তু গ্রোজনিতে কুয়াশার কারণে পরে এর পথ পরিবর্তন করা হয়।