ইংরেজি নতুন বছর বরণ করতে দেশে দেশে চলছে প্রস্তুতি। জমকালো আয়োজন আর বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে বিশ্ববাসী। সবচেয়ে বড় নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকত কর্তৃপক্ষ। ২৫ লাখ মানুষ জড়ো হওয়ার আশা কর্তৃপক্ষের।
পুরোনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণে প্রস্তুত বিশ্ব। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ যেন শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে এই কামনা বিশ্ববাসীর।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ভৌগোলিক কারণে সবার আগে নতুন বছরকে বরণ করবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। জমকালো আয়োজন আর বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
নববর্ষ-২০২৫ উদযাপনে বর্ণিল সাজে সেজেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ার। সেখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষের সমাগমের আশা করছে কর্তৃপক্ষ। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূলে আছে বলে নিশ্চিত করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
এদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকত কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২৫ লাখ মানুষ কোপাকাবানায় জড়ো হবেন বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
রিও ডি জেনিরোর মেয়র এডুয়ার্দো পেস রয়টার্সকে বলেন, ‘নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সৈকতে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। মিউনিসিপ্যাল গার্ডও আমাদের সহায়তা করবে। উৎসবের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বাসিন্দারা যেন মনের আনন্দে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে পারে।’
জার্মানির বার্লিনেও চলছে নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি। নিরাপত্তা জোরদারে শহরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ৫ হাজার পুলিশ।
চীনের বেইজিংয়ে নববর্ষ উপলক্ষে ফ্যাশন ও প্রযুক্তির থিমযুক্ত এক হাজারের বেশি লণ্ঠন জ্বালানো হয়েছে। একে বছরের সবচেয়ে বড় লণ্ঠন উৎসব বলা হচ্ছে। ব্যবসায়ে সমৃদ্ধি লাভের আশায় এমন আয়োজন।
এদিকে নতুন বছরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এসময় বিশ্বজুড়ে সমতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দেন তিনি।