চীনের ডিপসিকের এক ধাক্কায় এক দিনেই ৬০০ বিলিয়িন ডলার হারালো মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানী এনভিডিআর। যারা মূলত গ্র্যাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট ও মোবাইল চিপস তৈরি করে। এআই দুনিয়া কামানো চ্যাটজিপিটিকে পেছনে ফেলে ডিপসিক উঠে আসলো আইফোন ব্যবহারকারীদের পছন্দের শীর্ষে।
চীনা স্টার্ট্আপ ডিপসিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত নতুন একটি চ্যাটবট বাজারে এনছে। ফলে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে প্রযুক্তিদুনিয়ার জায়েন্টদের চোখ ঘুড়িয়ে দিয়েছে। চিপ নির্মাতা এবং ডেটা সেন্টার কোম্পানীগুলোর নিয়োগকারীরা শেয়ার ছাড়তে শুরু করেছেন।
এই ধাক্কায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি বাজারের ইতিহাসে এক দিনে সর্ব্বোচ্চ বাজার মূলধন হারানোর রেকর্ড সৃষ্টি করলো এনভিডিআর।
ডিপসিক-আর১ এর প্রভাবে প্রযুক্তি দুনিয়ার টালমাটালকে মার্কিনী প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের জন্য জেগে ওঠার সংকেত বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও।
ওপেনএআই যাত্রা শুরু করেছিল বছর দশেক আগে। সে সময় তাদের কর্মী ছিলো সাড়ে চার হাজার। ডিপসিক যাত্রা করছে মাত্র দুই বছর আগে। কর্মী মাত্র ২০০।
কৌতুহল থেকে কৃত্রিমবুদ্ধিমাত্রার জগতে পা দিয়ে নয়া ইতিহাস সৃষ্টি করলেন চীনের হাংঝৌ এর লিয়াং ওয়েনফেং।
২০২৩ সালের শেষ দিকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ডিপসিক। ওপেনএআই যেখানে ব্যয় করছে ৬৬০ কোটি টাকা সেখানে মাত্র ৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয়েই দুনিয়া কাপালো ডিপসিক। তবে সিলিকন ভ্যালির প্রভাবশালী ক্যাপিটালিস্ট মার্ক আন্দ্রেসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ বলেছেন, ডিপসিক-আর১ কৃত্রিম বুদ্ধিমতার জগতের স্পুটনিক মোমেন্ট।
এদিকে একটা বড় ধাক্কা খেলেও ডিপসিকের প্রশংসা করে ওপেনএআই এর সিইও স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, ভালো প্রতিদ্বন্দ্বী বাজারে থাকার উপকারিতা আছে। ডিপসিক নিয়ে তারা খুব বেশী চিন্তিত নন। ওপেনএআই খুব দ্রুতই তাদের উন্নত সংস্করনও বাজারে আসছে।