যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কেউ জীবিত নেই বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সিএনএন এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প মনে করেন মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কেউ জীবিত নেই। ২০০১ সালের পর এটি সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা বলেও তিনি দাবি করেন। এ দুর্ঘটনার জন্য ওবামা এবং বাইডেন-সমর্থিত ‘ডাইভার্সিটি পলিসি’কে দোষারোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাতের জন্য উদ্ধার অভিযান কিছুটা স্থগিত করা হয়েছে। তবে এখনও অন্তত ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে ৷ সংঘর্ষের পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল পটোম্যাক নদীতে। ইতিমধ্যে সেখান থেকে কয়েক ডজন মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উইচিটা, কানসাস থেকে উড়ে আসা বিমানটিতে মোট ৬৪ জন লোক ছিল, আর হেলিকপ্টারটিতে ছিল ৩ জন সৈন্য ।
ওয়াশিংটনের এ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)। তারা ইতিমধ্যে বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। সংস্থাটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করার আশা ব্যক্ত করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ইউনিয়নের প্রধান বলেছন, আমেরিকান এয়ারলাইনস ফ্লাইট-৫৩৪২ এর পাইলট এবং সামরিক হেলিকাপ্টারের পাইলট উভয়ই দক্ষ হবে আশা করা যায়। তবুও কেন এমন একটি ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটেছে এর কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।
এর আগে গত বুধবার রাতে, পিএসএ এয়ারলাইন্সের একটি আঞ্চলিক বিমানের সাথে রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরের কাছে একটি সিকরস্কি এইচ-৬০ হেলিকপ্টারের মাঝ আকাশে সংঘর্ষ হয়। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, পটোম্যাক নদীর ওপরে মাঝ আকাশে বিমান ও হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ।