ঢাকা বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ২২ মাঘ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

Q4 অ্যাপলের আয় ছাড়াল ১২ হাজার কোটি ডলার

আন্তর্জাতিক

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৬:৪৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ

Q4 অ্যাপলের আয় ছাড়াল ১২ হাজার কোটি ডলার

আগের বছরের তুলনায় অ্যাপলের আয় বেড়েছে ৪ শতাংশ। নয়া রেকর্ডে গত বছরের শেষে প্রন্তিকে রেকর্ড ১২ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার আয় করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক গত সপ্তাহে আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর ছিল এ পর্যন্ত কোম্পানির দেখা সেরা প্রান্তিক। অ্যাপ স্টোর, আইক্লাউড, মিউজিক, টিভি প্লাস ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা থেকে গত এক বছরে ১০ হাজার কোটি ডলার আয় করেছে অ্যাপল।

টিম কুক বলেন, ‘ছুটির মৌসুমে সেরা পণ্য এবং পরিষেবাগুলো সরবরাহ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। অ্যাপল সিলিকনের শক্তির মাধ্যমে আমাদের অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মুক্ত করছি, যা অ্যাপ ও অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত করে তুলছে। এপ্রিল থেকে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স আরো বেশি ভাষায় ব্যবহার করা যাবে।’

অ্যাপল জানিয়েছে, পেইড অ্যাকাউন্ট ও সাবস্ক্রিপশন উভয়ই আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোম্পানিটি কিছু পরিষেবা সম্প্রসারণের কথাও উল্লেখ করেছে, যেমন অ্যাপল আর্কেড ও ফিটনেস প্লাস।

ইতিবাচক আর্থিক প্রতিবেদনটি এমন সময় এসেছে, যখন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে স্মার্টফোনের বাজারে অ্যাপলের হিস্যা চীনা অ্যান্ড্রয়েড নির্মাতাদের তুলনায় কিছুটা কমেছে। অ্যাপলের ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে, অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অ্যাপলের আইফোন বিক্রি কমেছে ৫ শতাংশ। যদিও এ সময় বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বাজার প্রবৃদ্ধি দেখেছে ৪ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে উন্মোচিত আইফোন ১৬-এর বিক্রি আশানুরূপ না হওয়া এ পতনের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে কোম্পানিটি।

প্রতি বছরই অ্যাপলের আয় বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে আইফোন। স্ট্যাটিস্টার তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আইফোন ব্যবহারকারী রয়েছে ১৪৬ কোটি। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ আইফোন ব্যবহার করছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চ বলছে, গত বছর অ্যান্ড্রয়েড প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় কম আইফোন বিক্রি করেছে অ্যাপল।

গত বছরের প্রথমার্ধে টেক জায়ান্টটির আয় ছাড়ায় ১৭ হাজার কোটি ডলার। এ সফলতার মূলে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাকবুকের বিক্রয় প্রবৃদ্ধি। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠার পর প্রথম নব্বইয়ের দশকে অ্যাপল বেশ বড় আর্থিক সংকটে পড়ে এবং বাজারে কোম্পানির অবস্থান দুর্বল হতে থাকে। এ সময় স্টিভ জবস অ্যাপলে ফিরে এসে কোম্পানিকে পুনর্গঠনে সাহায্য করেন। দশকের শেষ দিকে আইম্যাক বাজারে এলে অ্যাপলের পুনরুত্থানের সূচনা হয়। ২০০১ সালে অ্যাপল আইপড চালু করে, যা ডিজিটাল মিউজিক শিল্পে বিপ্লব ঘটায়। ২০০৭ সালে আইফোন বাজারে এলে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের বাজার সম্পূর্ণরূপে বদলে যায়। অনেকেই প্রথম চালু হওয়া অ্যাপলের আইফোনকে প্রথম সত্যিকারের স্মার্টফোন হিসেবে মনে করেন। কারণ এটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের মতো ইন্টারনেটের অভিজ্ঞতা দিয়েছিল। এরপর ২০১০ সালে আইপ্যাড চালু করে টেক জায়ান্টটি। এটি ট্যাবলেটের বাজারে নতুন ধারা সৃষ্টি করে।

সফলতার সঙ্গে সঙ্গে বহু বছর ধরে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কোম্পানিটি বিভিন্ন দেশে অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা ও সরকারি তদন্তেরও মুখোমুখি হয়েছে। মূল বিতর্ক হলো স্টোরে থাকা অ্যাপ ও লেনদেন থেকে অ্যাপল কত শতাংশ কমিশন নেবে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ভিডিও গেম কোম্পানি এপিক গেমস অ্যাপলের বিরুদ্ধে বাজারে একচেটিয়া আধিপত্যের অভিযোগে মামলা করে। অবশ্য দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ মামলা গ্রহণ করেনি।

জনপ্রিয়