যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর তার প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। তবে দেশটির সবচেয়ে বড় পন্য ও সেবার যোগানদাতা চীনের উপর আরোপিত ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করছে মার্কিন প্রশাসন। মঙ্গলবার নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার যে সময়সীমা ছিল তার চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে কানাডা ও মেক্সিকোর সিদ্ধান্ত এলো। অন্যদিকে কানাডা ও মেক্সিকো এই সময়ের মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক পাচার কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে রাজি হয়েছে। সমঝোতা অনুযায়ী কানাডা একজন 'ফেন্টানিল জার' নিয়োগ দেবে আর মেক্সিকো সীমান্তে দশ হাজার সৈন্য পাঠাবে। খবর বিবিসি বাংলার।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের সাথে কয়েক দফা ফোনালাপের পর এ সমঝোতা হয়। কানাডা ও মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শুল্ক পরিকল্পনা অনড় থাকলে উভয় দেশই পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো। ওদিকে চীনা পণ্যের ওপর দশ শতাংশ শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা মি. ট্রাম্প দিয়েছিলেন তা আজই কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কানাডার ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
"উত্তরাঞ্চলে একটি নিরাপদ সীমান্ত নিশ্চিত করার বিষয়ে কানাডা একমত হয়েছে," ট্রাম্প লিখেছেন তার সামাজিক মাধ্যমে ট্রুথ সোশ্যালে।
জাস্টিন ট্রুডোর টুইট উদ্ধৃত করেছেন তিনি। ওই টুইটে কানাডীয় নেতা সীমান্তের জন্য ১ দশমিক ৩ কানাডিয়ান ডলার ব্যয় একজন 'জার' নিয়োগের কথা বলেছেন যিনি ফেন্টানিল মাদকের বিক্রয় বন্ধের প্রচেষ্টা নিবেন। একই সঙ্গে তিনি সন্ত্রাসী হিসেবে কার্টেলগুলোর তালিকা করবেন।
ট্রাম্প বলেন: "আমি এই প্রাথমিক অর্জনে আনন্দিত এবং শনিবার ঘোষণা করা শুল্ক প্রয়োগ ত্রিশ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। এর মধ্যে দেখা হবে যে কানাডার সাথে একটি চূড়ান্ত অর্থনৈতিক চুক্তি হতে পারে কি না"।
সর্বশেষ তিনি লেখেন : "সবার জন্য ন্যায্যতা"।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন সীমান্ত পরিস্থিতির উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে সরকার। সীমান্ত পরিকল্পনায় নতুন করে হেলিকপ্টার, প্রযুক্তি ও লোকবল যুক্ত করা হবে। একই সাথে 'ফেন্টানিলের প্রবাহ বন্ধ করতে প্রচেষ্টা জোরদার হবে'।
"প্রায় দশ হাজার মানুষ সীমান্ত সুরক্ষায় কাজ করবে। এর সাথে কানাডা একজন ফেন্টানিল জার নিয়োগের অঙ্গীকার করছে। আমরা সন্ত্রাসী হিসেবে কার্টেলগুলোর তালিকা করবো। সীমান্তের ওপর ২৪/৭ নজর রাখা নিশ্চিত করা হবে। সংগঠিত অপরাধ, ফেন্টানিল ও অর্থ পাচার মোকাবেলায় কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ স্ট্রাইক ফোর্স চালু হবে," সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন তিনি।"আমি একই সাথে ফেন্টানিল ও সংঘবদ্ধ অপরাধ বিষয়ে নতুন গোয়েন্দা নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেছি। এতে আমরা দুশো মিলিয়ন ডলার ব্যয় করবো"।