ওয়াশিংটনের ১০ শতাংশ শুল্কের জবাবে আমদানি পন্যে ১৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে বেইজিং। আমদানিকৃত চীনা পণ্যের ওপর প্রথমে ১০ শতাংশ শুল্প আরোপ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শপথ গ্রহণের পর ট্রাম্প ঘোষণা করেন, কানাডা এবং মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। কানাডা ও মেক্সিকোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করে নতুন আরোপিত শুল্ক স্থগিত করা হলেও চীনের ১০ শতাংশ বহাল রাখা হয়। ফলে মঙ্গলবার থেকে মার্কিন পণ্যে ১৫ শতাংশ হলে শুল্ক কার্যকর করা হয়েছে।
২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের আগে থেকেই চীন, কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে আসছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে আন্তর্জাতিক সময় মঙ্গলবার রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত সব চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হয়ে যায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা ও এলএনজি গ্যসের ওপর অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি এবং গাড়ির ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক জারি করে বেইজিং।
এক বিবৃতিতে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেইজিং ইতোমধ্যে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন গুগলের মালিক অ্যালফাবেটের বিরুদ্ধে একচেটিয়া ব্যবসার তদন্ত শুরু করেছে। কেলভিন ক্লেইন, বায়োটেকনোলজি কোম্পানি ইলুমিনাসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন ব্র্যান্ডকে ‘সন্দেহভাজন ও অনির্ভরযোগ্য’ তালিকাভুক্ত করছে।
পৃথক এক বিবৃতিতে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন থেকে টাংস্টেন, টেলুরিয়াম, মলিবডেনাম, রুথেনিয়াম যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। এই মূল্যবান ধাতুগুলো যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে চীন।
এর আগে প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে রীতিমতো ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। এ যুদ্ধের প্রধান কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্যহীনতা। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে চীন। সেই তুলনায় চীনে মার্কিন পণ্য রপ্তানির হার বেশ কম।
সেবার চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্প অতিরিক্ত শুল্ক জারি করায় আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থা ও বৈশ্বিক অর্থনীতির বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।