
সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতের ওপর আরোপিত বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
সাবেক স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার পুনর্গঠনে সহায়তা করার লক্ষ্যে গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জ্বালানি, পরিবহণ ও ব্যাংকিং খাতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। খবর এএফপির।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় বাশার-আল আসাদ সরকারের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ। সাবেক বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে নতুন সরকার এসব নিষেধাজ্ঞা শিথিলের দাবি জানিয়ে আসছিল। সিরিয়ায় ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার’ গড়ার দাবিতে ইউরোপ ও অন্য শক্তিধর দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ না নেয়ার বিষয়ে অনড় ছিল।
অবশেষে সোমবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সেই অবস্থান থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ওই বৈঠকে অনুমোদিত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার জ্বালানি, পরিবহণ খাতসহ পাঁচ ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তর এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য তহবিল সহজলভ্য করার পদক্ষেপে অনুমোদন।
ইইউর কর্মকর্তারা অবশ্য সাবধান করে দিয়ে বলেছে, সিরিয়ার নতুন নেতারা যদি সংখ্যালঘুদের অধিকারের প্রতি সম্মান ও গণতন্ত্রের দিকে যাওয়ার অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন তাহলে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হতে পারে।
সিরিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি বলেছেন, তার দেশের সরকার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে। এক এক্স বার্তায় তিনি বলেন,
আমরা এ পদক্ষেপকে আমাদের জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে বিরোধীদের ওপর তৎকালীন আসাদ সরকারের দমন-পীড়নকে ঘিরে সিরিয়ায় দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়। সিরিয়ার বেশিরভাগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায় এবং বছরের পর বছর আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে অর্থনীতি বিধ্বস্ত হয়।
জাতিসংঘ গত সপ্তাহে বলেছে, বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারে ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগের অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরে যেতে সিরিয়ার ৫০ বছরেরও বেশি সময় লাগবে।