ঢাকা রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫ , ১ চৈত্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

হিজাব না পরা নারীদের ড্রোন দিয়ে ধরছে ইরান

আন্তর্জাতিক

আমাদের বার্তা ডেস্ক 

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ১৫ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

হিজাব না পরা নারীদের ড্রোন দিয়ে ধরছে ইরান

ইরানে সরকারি বিধান অনুযায়ী, জনসমাগমে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় গ্রেফতারসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে—ইরান এখন হিজাব আইন প্রয়োগে ড্রোন, ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম এবং একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী তেহরান ও দক্ষিণাঞ্চলে ড্রোনের মাধ্যমে নারীদের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, ‘নাজার’ নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিকরা এবং পুলিশ সদস্যরা হিজাববিহীন নারীদের সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করছেন।

‘নাজার’ অ্যাপটি ব্যবহার করে কেউ যদি হিজাব না পরা কোনো নারীকে দেখে, তাহলে সেই নারীর গাড়ির লাইসেন্স প্লেট, অবস্থান এবং সময়সংক্রান্ত তথ্য সরাসরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠানো যায়। এরপর, পুলিশের পক্ষ থেকে গাড়ির মালিকের মোবাইলে একটি সতর্কবার্তা পাঠানো হয়, যেখানে বলা হয়, ‘আপনার গাড়িতে হিজাব আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সতর্কতা অমান্য করলে গাড়ি জব্দ করা হবে।’

২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে অ্যাপটির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা হয়, যা অ্যাম্বুলেন্স, ট্যাক্সি এবং গণপরিবহনে থাকা নারীদের নজরদারির জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে। হিজাব নিয়ে এই কড়াকড়ি ইরানে নারীদের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করছে জাতিসংঘ।

অভ্যন্তরীণ বিতর্কের পর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে ইরানের হিজাব আইনটি স্থগিত করা হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, আইনটি আবার কার্যকর হলে এটি অমান্য করার জন্য ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১২,০০০ ডলার সমতুল্য জরিমানা করা হবে। ইরানের ইসলামিক দণ্ডবিধির ২৮৬ ধারা অনুসারে, ‘পৃথিবীতে অনৈতিকতা’ অভিযোগে অভিযুক্ত হলে নারীদের মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।

২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন ভঙ্গ করার অপরাধে মাহশা আমিনি নামে এক তরুণী গ্রেফতার হন। ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী পুলিশের হেফাজতে মারা যান। তার মৃত্যু এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়, যাতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছিল।

জনপ্রিয়